কিছুতেই ঘুম থেকে উঠতে চায় না সন্তান? তাহলে তাকে এই ৫ কৌশলেই তাকে সকালে উঠতে শেখান!

আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ এই পৃথিবীর বুকে ছাপ ছেড়ে যেতে চাইলে ভোর ভোর ঘুম থেকে উঠতেই হবে। কারণ এই দুনিয়ার সমস্ত চর্চিত, সাফল্যের শিখরে থাকা মানুষেরা সকাল সকালই বিছানা ছেড়ে উঠে নিজেদের কাজে লেগে পড়েন। এটাই তাঁদের দীর্ঘদিনের অভ্যাস। তাই ছোট্ট সোনাকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলে তাকে একজন মর্নিং পার্সন করে তুলতেই হবে।

তবে মুশকিল হল, আজকালকার বাচ্চারা সকালে ঘুম থেকে উঠতেই চায় না। বরং সকালে উঠতে বললেই তারা চিল-চিৎকার জুড়ে বাড়ি মাথায় তোলে। আর তাই দেখে বিরক্তি বাড়ে বাবা-মায়ের। এমনকী তাঁদের মনে প্রশ্ন আসে যে, সন্তানকে কী ভাবে ঠিক পথে আনা যায়? আর সেই উত্তর জানতে চাইলে ঝটপট এই নিবন্ধটি পড়ে ফেলুন। আশা করছি, এসব নিয়ম মেনে চললে অনায়াসে সন্তানকে মর্নিং পার্সন করে তুলতে।

 পর্যাপ্ত ঘুম না হলে যে তারা সকালের দিকে উঠতে চাইবে না, এটাই তো স্বাভাবিক। তাই সন্তানকে সকাল সকাল ঘুম থেকে তুলতে চাইলে তাকে নিয়ে তাড়াতাড়ি শুতে যান। হয়তো প্রথম কয়েকদিন তার ঘুম আসবে না। তবে ধীরে ধীরে সে এই অভ্যাসের সঙ্গে মানিয়ে নেবে। তারপর তার ঘুমের ঘাটতিও মিটে যাবে। ফলে সকালে ঘুম থেকে ওঠার সময় আর বায়নাক্কা জুড়ে বসবে না সন্তান। তাই আজ থেকেই এই কাজে লেগে পড়ুন।

আরও পড়ুনঃ চায়ের সঙ্গে বিস্কুট খাওয়ার অপকারিতা শুনলে চমকে যাবেন আপনি

খাওয়ার পরপর শুতে গেলে চোখে ঘুম আসবে না। তাই আজ থেকেই ছোট্ট সোনাকে রাত ৮ থেকে ৯টার মধ্যে খাইয়ে দিন। তারপর রাত ১০টার মধ্যে তাকে ঘুম পাড়িয়ে দিতে হবে। ব্যস, তাহলেই আর সকালে ঘুম থেকে ওঠার সময় সন্তান আর বেগরবাই করবে না। উল্টে তাড়াতাড়ি খাবার খেয়ে নেওয়ার সুবাদে তার পেট এবং মন, দুইই থাকবে ভালো। তাই আজ থেকেই এই রুটিন ফলো করুন।

সন্তানকে শুধু অর্ডার দিয়ে কোনও লাভ পাবেন না। বরং তাকে সকালে ওঠার কিছু ভালো দিক সম্পর্কে সবসময় বলতে থাকুন। এমনকী এমন কিছু বিখ্যাত মানুষের রুটিন সম্পর্কে তাকে জানাতে হবে, যাঁরা সকল সকাল উঠেই কাজ শুরু করে দেন। আশা করছি, নিয়মিত  এই বিষয়গুলি বললে তার মনেও সকালে ওঠার আগ্রহ বাড়বে। আর বাবা-মা হিসাবে এটাই যে আপনার সবথেকে বড় পাওনা।

সকালে ঘুম থেকে উঠিয়েই সন্তানকে পড়তে বসিয়ে দেবেন না। এই ভুলটা করলে কিন্তু সে বিছানা ছেড়ে উঠতেই চাইবে না। বরং ঘুম ভেঙে ওঠার পর তাকে নিয়ে মাঠে যান। সেখানে তাকে ক্রিকেট বা ফুটবল খেলতে দিন। এই কাজটা করলে যেমন ছোট্ট সোনার শরীরের হাল ফিরবে, ঠিক তেমনই তার সকালে ওঠার আগ্রহও বাড়বে। তাই আজ থেকেই এই কাজে লেগে পড়ুন বন্ধু।

ছোটরা গিফট পেতে খুবই ভালোবাসে। আর তাদের এই ভালোবাসাকেই তাদের স্বার্থে ব্যবহার করতে হবে। সেক্ষেত্রে আজই তাকে বলতে পারেন, রোজ সকালে যদি তুমি উঠে পড়ো, তাহলে একসপ্তাহ পরে তোমায় এই জিনিসটা কিনে দেব। আর সন্তান এই কাজে সাফল্য পেলে, তাকে তার প্রাপ্য গিফট দিয়ে দিন। এই কৌশলেই সন্তানকে মর্নিং পার্সন করে তুলতে পারবেন।

Leave a Reply

Translate »