সময়ের আগেই মেনোপজ হওয়ার ঝুঁকি কাদের বেশি?

আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃঋতুস্রাব নারী দেহের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। নির্দিষ্ট বয়সের পর ঋতুস্রাব স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায়। একেই বলে মেনোপজ । যদি কারো ১২ মাসের বেশি সময় ধরে ঋতুস্রাব /মাসিক বন্ধ থাকে তাহলেই ধরে নিতে হবে এটি Menopause.

সাধারণত ৪৪-৫২ বছরের মধ্যে Menopause হয় বলে ধরা হয়। কিন্তু গবেষকেরা বলছেন এখনকার সময়ে অত্য়ধিক স্ট্রেস, জীবনযাপনে অনিয়ম, নেশার প্রকোপ, মানসিক চাপ-অবসাদ ইত্যাদির কারণে মহিলাদের একটা বড় অংশের ঋতুস্রাব পাকাপাকি ভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে চল্লিশের নীচেই।

পঁয়ত্রিশ, ছত্রিশ বা চল্লিশে Menopause হওয়া মহিলারা অল্প বয়স থেকেই হাড় ভঙ্গুর হওয়া, ত্বকের আর্দ্রতা নষ্ট হওয়া, হৃদরোগ, মাথাঘোরা, অনিদ্রা, যোনিপথের শুষ্কতা ও তার ফলে শারীরিক মিলনে সমস্যা, মানসিক অবসাদ বা উদ্বেগের মতো নানা রকম শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। ফলে অবসাদও দিন দিন বাড়ছে।

আরও পড়ুন ঃব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখার ৬ টি উপায়

মেনোপজের লক্ষণ

– যৌন অনুভূতি বা ইচ্ছা না হওয়া

– যোনিপথ শুষ্ক হয়ে যাওয়া

– প্রস্রাবে নিয়ন্ত্রণ না থাকা

– প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া এবং মূত্রনালির সংক্রমণ (ইউটিআই)

– ঘুমের সমস্যা হওয়া

– মাথাব্যথা

– হঠাৎ গরম লাগা

– রাতে ঘাম হওয়া 

– ত্বক, মুখ এবং চোখ শুষ্ক হয়ে যাওয়া

– কালশিটে বা কোমল স্তন

– বুক ধড়ফড়ানি

– পেশি ভর হ্রাস

– হাড়ের ভর হ্রাস 

– গিরায় গিরায় ব্যথা বা শক্ত হয়ে যাওয়া

– চুল পাতলা হওয়া 

– মুখ, ঘাড়, বুক এবং পিঠের ওপরের অংশে চুল বৃদ্ধি পাওয়া

– বিষণ্ণতা

– উদ্বেগ

– মেজাজি হয়ে যাওয়া

ঝুঁকি বেশি কাদের?

স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ এবং এন্ডোক্রিনোলজিস্টরা বলছেন, যে সব মহিলার অনেক ছোটবেলায় ঋতুস্রাব শুরু হয়, তাঁদের ডিম্বাশয় তাড়াতাড়ি ডিম্বাণু-শূন্য হয় এবং Menopause হয়ে যায়। তা ছাড়া, অল্প বয়সে সন্তান হলে, প্রথম ও শেষ সন্তানের মধ্যে সময়ের ব্যবধান কম হলে Menopause তাড়াতাড়ি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

Leave a Reply

Translate »