বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানের মতো ব্যাট করছিলেন

আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ প্রথমেই ৮ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে চিন্তায় পরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। শুরুতেই জোড়া শিকারে তৃপ্তির ঢেকুর তুলেছিলেন জিম্বাবুয়ান পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি।

 

কিন্তু ধ্বসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ গড়ে দলকে বিপদের মুখ থেকে টেনে তুলেন লিটন দাস ও মাহমুদউল্লাহ।

 

এ জুটি খুব পোড়াচ্ছিল মুজারাবানিকে। অবশেষে ৯৫ রানে ব্যাট করতে থাকা লিটনকে শুম্বা ফেরালে স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়েন স্বাগতিকরা। লিটন দাস যখন সাজঘরে ফিরছিলেন স্কোরবোর্ডে বাংলাদেশের সামনে তখন ২৭০ রান। কিন্তু নেই ৭ উইকেট। এতে হাসিটা চওড়া দেখাচ্ছিল পেসার মুজারাবানির।

 

কিন্তু মুজারাবানির সেই চওড়া হাসিকে দ্বিতীয় দিনে একেবারে মিলিয়ে দিলেন তাসকিন আহমেদ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পেসার তাসকিন এই ম্যাচে খেলেছেন বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানের মতো। জিম্বাবুয়ান বোলারদের ভালোই মোকাবিলা করলেন। চার মারছিলেন, ছাড়ার বল ছাড়ছিলেন।

 

এদিকে ১০ নম্বর ব্যাটসম্যান গোটা দলকে ভোগাচ্ছে, ভাবতেই পারছিলেন না ব্লেসিং মুজারাবানি। তাসকিনকে দ্রুত আউট না করার হতাশায় ডুবে গিয়েছিলেন। আর সেই হতাশা রাগে প্রকাশ পেল।  দিনের তৃতীয় ওভারে মুজারাবানির অফ স্টাম্পের বাইরের বাউন্সার ছেড়ে দিয়ে একটু ব্রেকডান্স সেরে নিলেন তাসকিন। তাতেই ক্ষেপে গেলেন মুজারাবানি। তেড়ে এলেন তাসকিনের দিকে।

 

তাসকিনও চুপচাপ থাকেননি। তাসকিনের হেলমেট আর মুজারাবানির মুখ লেগে থাকল খানিকক্ষণ, কথা কাটাকাটি চলল সেভাবেই।

 

দিনশেষে তাসকিন জানিয়েছেন সে কথা। তিনি বলেন, ওরা আমাকে আক্রমণ করার চেষ্টা করছিল। বাউন্সার মারার চেষ্টা করছিল। ভালো জায়গায় বল করছিল। আমি সামলাচ্ছিলাম ভালো। বিরক্ত হয়ে বেশ কয়েকবার গালিও দিয়েছে। তৃতীয়বার যখন গালি দিয়েছিল, তখন আমিও তেড়ে গিয়েছিলাম। তখন আমি বলছিলাম- আমাকে কেন গালি দিচ্ছ, বল দিয়ে পারলে কিছু করো! এটিই বলেছি। আর কিছু বলিনি। আবারও তাসকিন সাহসীকতার পরিচয় দিলেন বাংলাদেশের হয়ে।

 

Leave a Reply

Translate »