শিশু বাচ্চারা ওষুধ খেতে না চাইলে মা-বাবা কী উপায়ে তাদের ওষুধ খাওয়াতে পারে?

আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ বাচ্চাদের ওষুধ খাওয়ানোর থেকে পাহাড় চড়া অনেক সোজা। মজা করে এমনটাই বলেন ভুক্তভোগী বাবা মায়েরা। সদ্যোজাত, কোলের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বিষয়টি আরও কঠিন হয়ে ওঠে। একে তো ওষুধের তিক্ত স্বাদ, অন্যদিকে তেমনই ঝাঁঝালো গন্ধ। বাবা মায়ের হাতে ওষুধ দেখলেই আতঙ্কে কাঁদতে শুরু করে দেয় শিশুরা।

কেউ কেউ তাতেই বমি করে ফেলে, কেউ কেউ আবার জোর করে ওষুধ খাওয়ালেই সঙ্গে সঙ্গে সব কিছু উগরে দেয়। ফলে পেটে যায় না ওষুধ, আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশু। এমন সমস্যায় ভুক্তভোগী দিশেহারা বাবা মাকে দিশা দিতে বিশেষ কিছু টিপস রইল আমাদের এই প্রতিবেদনে।

আরও পড়ুনঃ সামান্য কিছু বিষয়েই ভয়ে কাঁপে বাচ্চার এই টিপসগুলি মেনে যোগান শিশুর মনে সাহস

পেরেন্টিং এক্সপার্ট বলছেন, ওষুধ খাওয়ার জন্য বাচ্চাকে না বকেঝকে বরং তার মন ভোলান। রঙিন খেলনা, জানলার বাইরের প্রকৃতি কিংবা পরিবারের লোকেরা নেচে গেয়ে ওর মন ব্যস্ত রেখে কাজ সেরে ফেলুন। তবেই হবে কেল্লা ফতে, নইলে বাচ্চাদের ওষুধ খাওয়ানো ‘খতরে কে খিলাড়ি’র টাস্কের থেকে কম কিছু নয়।

অনেক সময় দেখা যায় ওষুধ মুখে দিতে না দিতেই বমি করে ফেলে শিশু বা ওষুধ খাওয়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই উগরে দিতে দেখা যায় অনেক বাচ্চাকে। সেক্ষেত্রে বাবা মায়েরা চিন্তায় পড়েন, শিশুকে ফের ওষুধ খাওয়াবেন কিনা। শিশু বিশেষজ্ঞ বলছেন, বমি করার পর আগে বাচ্চাকে শান্ত করুন। ৫-১০ মিনিট বাদে শিশুকে ফের ওষুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করতে পারেন।

প্রথমবার বমি করলে দ্বিতীয়বার ওষুধ নির্দ্বিধায় খাওয়ানো যায়। সেই ডোজ বমি করলে ফের একই ডোজ দেওয়ার চেষ্টা করা যায়। কিন্তু তৃতীয় বারও শিশু একই কাজ করলে আর ওষুধ না দিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে।

Leave a Reply

Translate »