রমজানেই পারে তামাক জীবন শেষ করতে 

আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ ইসলামে সব ক্ষতিকর জিনিস নিষিদ্ধ। ধূমপান মাদকের প্রথম ধাপ। মাদক মাকাসিদে শরিয়া বা শরিয়তের বিধানগুলোর উদ্দেশ্যাবলির অন্তরায়। মাকাসিদে শরিয়া হলো জীবন রক্ষা, সম্পদ রক্ষা, জ্ঞান রক্ষা, বংশ রক্ষা, ধর্ম রক্ষা।

 

 

হাদিস শরিফে রয়েছে, ‘মাদক হলো সব পাপের সমন্বয়ক।  মাদক পাপাচারের মূল এবং কবিরা গুনাহের অন্যতম। (তবরানি ও বায়হাকি)। কারণ, মাদক এমন পাপ, যা সব পাপের দ্বার উন্মুক্ত করে দেয়। এ জন্যই সব ধরনের মাদক ইসলাম নিষিদ্ধ করেছে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যেকোনো পানীয় (বা বস্তু) নেশা উদ্রেক করে তা হারাম। ধূমপান ও তামাক একপর্যায়ে নেশায় পরিণত হয়, যা ছাড়া ধূমপায়ী ও মাদকসেবী থাকতে পারে না। ইসলামি শরিয়তে নেশা সর্বৈব হারাম। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে বিশ্বাসী মুমিনগণ! মদ, জুয়া, মূর্তিপূজার বেদি ও ভাগ্য নির্ণায়ক শর ঘৃণ্য বস্তু; শয়তানের কর্ম। সুতরাং তোমরা তা বর্জন করো; যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো। শয়তান তো মদ ও জুয়া দ্বারা তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ ঘটাতে চায় এবং তোমাদের আল্লাহর স্মরণ হতে ও সলাতে বাধা দিতে চায়। তবে কি তোমরা নিবৃত্ত হবে না?

 

 

ধূমপানে রোজা ভঙ্গ হয়। তাই রমজানে দিনের বেলায় রোজাদার ব্যক্তি ধূমপান করেন না। অনুরূপভাবে যাঁরা বিভিন্নভাবে তামাক সেবন করেন, তাঁরাও রোজা অবস্থায় তা করেন না। অন্তত প্রতিদিন দীর্ঘ ১৫ থেকে ২০ ঘণ্টা বিরত থাকেন। সুতরাং ধূমপায়ী ও তামাকসেবীদের জন্য তা বর্জনের মহাসুযোগ রমজান মাস।

Leave a Reply

Translate »