ম্যাচ শুরু হবার সাথে সাথে শুরু হলো তুলকালাম

আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ কোপা আমেরিকার ফাইনালের পর ফের এক দুর্দান্ত ম্যাচ উপভোগ করা থেকে বঞ্চিত হলেন ফুটবলপ্রেমীরা। খেলা চলার সাত মিনিটের মাথায় তুলকালাম বাঁধালেন ব্রাজিলের স্বাস্থ্যবিভাগের কর্মকর্তারা। কিছুক্ষণ হইচই আর ড্রেসিংরুমে মেসি-নেইমারদের সঙ্গে আলোচনার পর ম্যাচটাই পণ্ড হয়ে যায়।

 

সুপার ক্লাসিকোর পঞ্চম মিনিটের খেলা চলছে তখন। সাইড লাইন পেরিয়ে মাঠে ঢুকে দাঁড়িয়ে পড়লেন এক ব্যক্তি। তাকে দেখে আর্জেন্টিনার দুই খেলোয়াড় নিকোলাস ওতামেন্দি ও মার্কোস আকুনা এগিয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন কে আপনি? খেলাচলাকালীন মাঠে কেন? এরপর আরো কয়েকজনকে দেখা যায়।

 

আর্জেন্টিনার ক্রীড়া পত্রিকা টিওয়াইসি জানায়, ম্যাচ অফিসিয়ালদের বাইরের উপস্থিত ব্যক্তিরা স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। ইংল্যান্ড থেকে আসা আর্জেন্টিনার চার খেলোয়াড়ের ব্যাপারে খোঁজ নিতে এসেছেন তারা। ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের ঘিরে ধরলে তারা মেসি ও নেইমারের সঙ্গে কথা বলেন। কিছুক্ষণ হইচইয়ের পর রেফারি কোপা আমেরিকার চ্যাম্পিয়নদের ড্রেসিং রুমে পাঠিয়ে দেয়।

 

রয়টার্স জানায়, কোয়ারেন্টিনের নিয়ম ভেঙে আর্জেন্টিনা দলে রয়েছেন চার খেলোয়াড়। তাদের মধ্যে তিনজনই একাদশের- গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেস, ডিফেন্ডার ক্রিস্তিয়ান রোমেরো ও মিডফিল্ডার জিওভানি লো সেলসো। এ তিন তারকার খেলা নিয়ে আপত্তি জানায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

 

বিষয়টি নিয়ে এখন তোলপাড় চলছে। ব্রাজিলের স্বাস্থ্যসচেতনতা–বিষয়ক সংগঠন আনভিসার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে অনেক। কারণ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের বিপক্ষে খেলতে তিন দিন আগেই দেশটিতে পা রেখেছিলেন আর্জেন্টাইনরা। অনুশীলনও করলেন। হোটেলে সময় কাটালেন। দলও ঘোষণা করা হলো ম্যাচ শুরুর বেশ কয়েক ঘণ্টা আগে।

 

আর মাঠে খেলা শুরু হতেই হুঁশ এলো ব্রাজিলের স্বাস্থ্যকর্তাদের। আগে তারা কোথায় ছিলেন তারা? ইংল্যান্ডের ক্লাবে খেলা আর্জেন্টিনার চার খেলোয়াড় যে ব্রাজিলে তিন দিন আগে ঢুকছেন, সেটি নিশ্চয়ই আগে থেকেই জানত আনভিসা। কিন্তু  তিন দিন ধরে চুপ থেকে কেন ম্যাচ শুরু হওয়ার পর এসে ঝামেলা বাঁধালো! ম্যাচ থামিয়ে দিল!

 

আর আনভিসার উদ্দেশ্যে সে প্রশ্নই তুলেছেন আর্জেন্টিনা দলের অধিনায়ক লিওনেল মেসি। মেসিও আনভিসার কর্মকর্তাদের বলেছেন, ‘আমরা এখানে আছি তিন দিন হলো। তাহলে আপনার এ ব্যবস্থা এখন কেন নিচ্ছেন?

Leave a Reply

Translate »