কোন আপেলটি খাবেন লাল না সবুজ

আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ আপেল আমাদের অতি পরিচিত একটি ফল। প্রায় বছরজুড়ে বাজারে এ ফলের দেখা মেলে। প্রবাদ আছে, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় একটি করে আপেল থাকলে নাকি ডাক্তার থেকে দূরে থাকা যায়। মানে রোগবালাই কম হয় আরকি। মূলত কম পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট আর অধিক পরিমাণ অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও মিনারেল থাকায় পৃথিবীর প্রায় সব দেশে এর ভীষণ কদর।

পৃথিবীজুড়ে নানা রঙের, নানা আকারের আপেলের দেখা মেলে। তবে আপেলের সবচেয়ে পরিচিত তিনটি রং হলো লাল, হলুদ ও সবুজ। তবে আমাদের বাজারে লাল ও সবুজ আপেলের দেখা মেলে। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, কোন আপেল তাহলে বেশি স্বাস্থ্যকর? কোন আপেলটা খাব? লাল নাকি সবুজ? আশা করা যায়, আপনাদের এ সংশয় অনেকখানি দূর হবে এ নিবন্ধে।

প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক, প্রাথমিকভাবে লাল আপেল ও সবুজ আপেলের মধ্যে কী কী পার্থক্য রয়েছে? লাল আপেল সবুজ আপেলের চেয়ে তুলনামূলকভাবে বেশি জনপ্রিয়। এর কারণ, লাল আপেল স্বাদে কিছুটা মিষ্টি আর মোটামুটি শহর, বন্দর, গ্রাম—সবখানেই এটি পাওয়া যায়।

অন্যদিকে সবুজ আপেল মিষ্টি নয়, বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে খানিকটা টক স্বাদেরও বটে। লাল আপেলের মতো এটি সহজলভ্য নয়। লাল আপেলের খোসা বেশ পাতলা আর সবুজ আপেলের কিছুটা মোটা। লাল আপেলে যে প্রচ্ছন্ন রসাল ভাব লক্ষ করা যায়, সেটা সবুজ আপেলে অনুপস্থিত। এ তো গেল বাহ্যিক দিক।

এবার একটু পুষ্টির দিকে নজর দিই চলুন। লাল আপেলে মিষ্টিভাব তুলনামূলক বেশি থাকার কারণ হলো এতে চিনির পরিমাণ বেশি। পুষ্টিগত দিক থেকে লাল ও সবুজের আপেলের পার্থক্য বেশ কয়েক জায়গায়। এক, লাল আপেলে কার্বোহাইড্রেট বেশি, ফাইবার বা আঁশ কম। অন্যদিকে সবুজ আপেলে কার্বোহাইড্রেট কম, ফাইবার বেশি। তাই যাঁরা একটু কম ক্যালরির আপেল খেতে চান, তাঁদের জন্য সবুজ আপেল নিঃসন্দেহে উত্তম পছন্দ। তবে এই পার্থক্যের পরিমাণ কিন্তু খুব বেশি নয়, সামান্য। তাই লাল আপেল খেলে ওজন বেড়ে যাবে, এ রকম কথা ভাবার কোনো কারণ নেই।

Leave a Reply

Translate »