আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ একটা বয়সের পরে প্রত্যেক মানুষেই হয়তো একজন সঙ্গীকে পাশে আশা করেন। কিন্তু প্রত্যেকের সেই ইচ্ছে পূরণ হয় কি! কেউ কেউ হয়তো সারা জীবন একজন ভালোবাসার মানুষের আশায় কাটিয়ে দেন। কখনও কখনও একাকিত্ব এমন ভাবে গ্রাস করে যে, চারপাশটা অন্ধকার হয়ে আসে। আমার জীবনের গল্পটাও অনেকটাই সেরকমই। আমার প্রায় সব বন্ধুর বিয়ে হয়ে গিয়েছে। এদিকে আমি আজও একাই রয়ে গিয়েছি। আমার পাশে কেউ নেই। কী ভাবে জীবনটা কাটবে? আজ বাধ্য হয়ে সব কথা বিশেষজ্ঞের কাছে লিখে পাঠালাম। অনুগ্রহ করে আমার কথাগুলি পড়ুন।
আমার বয়স ৩৬ বছর। আমার প্রায় সব বন্ধুদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আমি আজও একা। আমি এখন ওয়ার্ক ফ্রম হোম করি, তাই সারা দিন বাড়িতেই থাকতে হয়। কথা বলার মতো একটা মানুষও আমার পাশে নেই, তাই একাকিত্ব যেন আমাকে ঘিরে ধরে। তবু এই ঘেরা টোপ থেকে বেরিয়ে আসার কোনও উপায় নেই।
আমি মেয়েদের সামনে কথা বলতে লজ্জা পাই। তাই আজও আমার কোনও মহিলা বন্ধু নেই। কোনও মহিলার সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠতা হয়নি। কারও সঙ্গে কথা বলতে পারি না। আজ পর্যন্ত যাঁরা আমার সঙ্গে ডেটে গিয়েছেন, তাঁরা বলেছেন আমি খুব বোরিং। আমার সঙ্গে নাকি ১০ মিনিটও বসা যায় না, তাই সারা জীবন থাকার কথা তো ভাবতেও পারে না। এদিকে আমার সব বন্ধুরা কী সুন্দর মেয়েদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে! আসলে আমারই কি কোনও রয়েছে? কী ভাবে এই ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে আসব? অনুগ্রহ করে আমাকে পথ দেখান।
আরও পড়ুনঃ কেমন হবে শীতের পারফিউম?
যখন আপনার বন্ধু মহলে অধিকাংশেরই বিয়ে হয়ে যায়, তখন একা লাগা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি ভাবলে চলবে না। বরং আপনার প্রধান সমস্যা কোথায় এবং কী কারণে আপনি কোনও মহিলার সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে পারেন না, তা বোঝা বেশি জরুরি। আর আপনাকেও প্রথমে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে বৈকি।
জীবনের এই সময়ে সঙ্গী খোঁজার জন্যে ব্লাইন্ড ডেট করে কোনও লাভ হবে বলে মনে হয় না। তার চেয়ে বরং একজন সুন্দর মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করার চেষ্টা করুন। তাঁকে বুঝুন এবং তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের সেতু মজবুত করার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে একটি সঠিক বন্ধন করে তুলুন।
আপনার মধ্যে কী সমস্যা রয়েছে, তা বোঝার জন্যে আপনার বন্ধুদের থেকেও ফিডব্যাক নিতে পারেন। যাঁরা আপনাকে দীর্ঘ দিন দেখছেন, আপনার দোষ-ত্রুটিগুলো জানেন, তাঁদেরকে সরাসরি এই বিষয়ে প্রশ্ন করুন। তাঁরা কিন্তু আপনাকে সাহায্য করতে পারবেন।
আপনার এই জীবনে আরও অনেক কাজ রয়েছে, একাধিক ভূমিকাও রয়েছে। তাই সেসব ভূমিকা পালনের চেষ্টা করুন। গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলোকে আরও একবার ফিরে দেখুন। হয়তো জীবনটা এতেই সহজ হবে। তারপরেও যদি কোনও সমস্যায় পড়েন, তাহলে বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিতে ভুলবেন না।