যোগব্যায়ামের সময়ে যে ভুলগুলো করলে ক্ষতি হতে পারে?

আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃযোগব্যায়াম শারীরিক ও মানুষিক  এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অতান্ত জরুরি এবং উপকারি ব্যায়াম  । সুস্থ থাকতে ডাক্তাররাও যোগব্যায়ামের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে যোগব্যায়ামের ক্ষেত্রে কোনওরকম ভুল পদক্ষেপ নিলে, শরীরে কিন্তু এর বিপরীত প্রতিক্রিয়া হতে পারে। যার ফলে স্বাস্থ্যের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। তাই যোগাসন করার সময় বেশ কিছু সর্তকতা অবলম্বন করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

যোগব্যায়ামের সময় কোন কোন নিয়মগুলি মেনে চলা জরুরি ?

ক্লান্তি এবং অসুস্থতায় ঃ

যোগব্যায়াম একা করা থেকে বিরত থাকুন। বিশেষ করে আপনি যদি নতুন যোগাসন শিখছেন, তবে কারুর নির্দেশনায় যোগাসন করুন। যোগাসন কখনই সঠিকভাবে না জেনে প্র্যাকটিস করার পরামর্শ দেওয়া না, এতে পেশীতে টান বা অস্বস্তি হতে পারে।

আরও পড়ুন ঃদৈনিক ১০ ঘণ্টা সিলিং ফ্যান চালালে কত বিদ্যুৎ বিল আসতে পারে?

টাইট পোশাকঃ

যোগাসনের সময় টাইট জামাকাপড় এবং জুতো পরবেন না। খালি পায়ে ব্যায়াম করুন। বিশেষ করে, টাইট পোশাক পরলে পাঁজর এবং ফুসফুসের গতিবিধি সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে। যার ফলে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

যোগাসন
যোগাসন

যোগাসনের পরমুহুর্তে গোসলঃ

যোগাসনের সময় ঘাম ঝরানোর পর, কখনই সঙ্গে সঙ্গে গোসল করবেন না। যোগাসনের পর আগে স্বাভাবিকভাবে ঘাম শুকোতে দিন এবং তারপর স্নান করুন। 

ঋতুস্রাবের সময়ঃ

ঋতু স্রাবের সময় কখনই কঠোর যোগাসন করবেন না। বিশেষ করে ‘ফিট আপ’ বা ইনভার্সন আসন না করাই ভাল। এই সময় রিল্যাক্সেশন এবং ব্রিদিং টেকনিকগুলো করতে পারেন। প্রাণায়াম করা যেতে পারে। 

যোগাসন
যোগাসন

অতিরিক্ত জল পানঃ

যোগাসনের সময় অতিরিক্ত জল পান করা থেকে বিরত থাকুন। এই সময় কেবল মাত্র তৃষ্ণা মেটাতে অল্প পরিমাণে জল পান করা যেতে পারে। 

প্রতিকূল এবং চরম আবহাওয়ায়ঃ

প্রতিকূল এবং চরম আবহাওয়ায় যোগাসন একদমই করবেন না। অর্থাৎ খুব গরম, খুব ঠান্ডা কিংবা খুব আর্দ্র আবহাওয়ায় যোগাসন করা এড়িয়ে চলুন। 

খাওয়ার পরঃ

বিশেষ করে ভারী খাবার খাওয়ার পরে একেবারেই ব্যায়াম করবেন না। খাবার খাওয়ার ২ থেকে ৩ ঘণ্টা পর যোগাসন করা যেতে পারে।

 

Leave a Reply

Translate »