আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ ভাত যদি খেতেই হয়, তবে লাল চালের ভাত খান। হাঁড়িতে রান্না করুন। ফ্যান ঝরিয়ে ফেলুন। রাইস কুকারে রান্না করা ভাত বা বসাভাত স্মৃতি বানিয়ে ফেলুন। আলুর পরিমাণ কমিয়ে দিন। তরকারিতে আলু দেওয়া বন্ধ করুন। বেশি বেশি খান তাজা সবজি ও শাক।
ডায়েটিশিয়ানের কথা শুনে অনেক কষ্ট করে মনকে বুঝিয়ে ভাত ছাড়লেন। কিন্তু ওজন কমছে না। উল্টো বাড়তে শুরু করেছে। আপনি তো রাগে, দুঃখে, শোকে পাথর। কিন্তু এমন ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। এমন পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেছেন ঢাকার বারডেম জেনারেল হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ আখতারুন্নাহার আলো। তিনি বিষয়টি পরিষ্কার করে বলেন, ‘ওজন কমানোর জন্য শুরুতেই আমরা ভাতটাকে বাদ দিয়ে দিই। কিন্তু ভাত খাওয়া তো আমাদের অনেক দিনের অভ্যাস। সে জন্য মন টানবেই। দুপুরে আমরা ভাত না খেয়ে এটা-ওটা নানা জিনিস খেয়ে পেট ভরাই। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে সেই খাবারগুলোতে অতিরিক্ত তেল বা কার্ব থাকে। তাই ওজন কমার বিপরীতে বেড়ে যেতে পারে।
প্লেটে আগে সবজি, ডাল, সালাদ, তরকারি, মাছ-যা যা আপনি খাবেন, সেগুলো নিয়ে নিন। সবশেষে নিন ভাত। তাহলে ভাতের পরিমাণ এমনিতেই কমে আসবে। মাছ বা মাংস-যেকোনো একটা খাওয়া যায়। যেদিন মাছ খাবেন, সেদিন মাংস নয়। আবার মাংস মানে রেড মিট নয়। কেবল মুরগির মাংস। রাতের খাবারে রেডমিট ভুলে যান, রেডমিটের দিকে তাকাবেনও না।
যেটুকু ভাত খাবেন, সমপরিমাণ কাঁচা সবজির সালাদ খেতে হবে। এই সালাদে থাকতে পারে শসা, টমেটো, বাঁধাকপি, গাজর, পেঁপে, বিট। এতে ভাতের গ্লাইকোজেন জমবে না। সহজে গলে যাবে। সালাদে খুব সামান্য লবণ দিন, তেল দেওয়া যাবে না। একটা কথা মাথায় ঢুকিয়ে নিন। ভাত দিয়ে তরকারি নয়, তরকারি দিয়ে ভাত খান। তাই প্লেটে আগে তরকারি, পরে ভাত।
ভাত খেয়ে উঠেই চা বা কফি নৈব চ, নৈব চ। এতে শরীরে ভাতের স্টার্চ থেকে যাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। ভাত খেলে স্টার্চ ভাঙায় ঝিমুনি ধরে। কিন্তু ভাত খেয়েই ভাতঘুম নয়। দিনেও নয়, রাতে তো নয়–ই। ঘুমানোর সময় বিপাকের হার কমে যায়। ফলে শরীরে মেদ জমে। তাই ভাত খাওয়ার পরে সেটা হজমের ব্যবস্থা করে এরপর ঘুমাবেন। এ কারণেই রাতে ঘুমানোর অন্তত তিন ঘণ্টা আগে রাতের খাওয়া সারুন।