আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ ব্লাড ক্যান্সার যে কোনো বয়সে হতে পারে। ব্লাড ক্যান্সার সাধারণত শিশুদের বেশি হয়ে থাকে। ব্লাড ক্যান্সার কেন হয় তার সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ নাই। তবে কিছু কিছু বিষয় ব্লাড ক্যান্সারের পরিমাণটা বাড়িয়ে দেয়। যেমন : রেডিয়েশন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিক্যাল, কীটনাশক বা পেস্টিসাইড, ভেজাল খাবার, কেমোথেরাপি ড্রাগস ও কিছু জেনেটিক অসুখ দায়ী থাকতে পারে।
উপরের যে কোনো কারণে অস্থিমজ্জার ভেতরের স্টেমসেল (মাদার সেল)-এর মিউটেশন বা অন্য কোনো পরিবর্তন হলে ক্যান্সার সেল (ব্লাস্ট) বা অপরিপক্ব কোষ তৈরি হয়, যা অস্থিমজ্জার ভেতরে অতিদ্রুত বৃদ্ধি হয়। যে কোনো বয়সে, যে কোনো লিঙ্গের লিউকেমিয়া, লিম্ফোমা হতে পারে।
নানাভাবে প্রতিনিয়ত দেহে জিনের মধ্যে বা ক্রোমোজমের ভেতরে মিউটেশন হতে থাকে। এ মিউটেশন যদি সঠিকভাবে কাজ না করে এবং এটা যদি স্থায়ী হয়ে যায়, তাহলে শরীরের মধ্যে যে অনকজিন নামের একটা জিন রয়েছে, সেটা অ্যাক্টিভেটেড হলে, তখন যে কোনো কোষের ব্লাড ক্যান্সারে রূপান্তরিত হতে পারে। যেমন : ডাউন সিনড্রোম যাদের হয় তাদের এ ব্লাড ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
আরও পড়ুন প্যারাসিটামল এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি?
ব্লাড ক্যান্সারের উপসর্গ ও লক্ষণ:
১. রক্তস্বল্পতার জন্য দুর্বলতা, খাবারের অরুচি, বুক ধড়ফড়, পায়ে পানি জমে যাওয়া, ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া।
২. দীর্ঘদিনের জ্বর বা ঘনঘন জ্বর
৩. অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ
৪. গ্লান্ড ফুলে যাওয়া, লিভার-প্লীহা বড় হওয়া
৫. কারও কারও ওজন কমতে পারে
৬. হাড়ে ব্যথাও হতে পারে।
এ ছাড়া স্কিন লিভার বড় হয়ে যেতে পারে। ক্ষুধামন্দা, দুর্বলতা, কাজের মধ্যে অনীহা এবং ওজন কমতে পারে।
এসব উপসর্গ যদি থাকে তখন হয়ত ধারণা করা যেতে পারে তার ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে। শুধু যে ব্লাড ক্যান্সারের রোগীদের এ উপসর্গ দেখা দেবে এমনটা নয়। অন্যান্য রোগেও দেখা যায় এসব উপসর্গ।
এজন্য উপসর্গগুলো দেখা দিলে উচিত হবে, প্রথমে কাছের কোনো চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া। তখন তিনি সাধারণ কিছু পরীক্ষা করে বুঝবেন রোগীর কী হয়েছে। তারপর ওই চিকিৎসক রোগীকে যে পরামর্শ দেবেন, সেভাবে করতে হবে।
কোনো কোনো ব্লাড ক্যান্সার ৯০ ভাগ ভালো হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এ ছাড়া বাচ্চাদের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ভালো হওয়ার সম্ভাবনা আছে। অতএব ব্লাড ক্যান্সার মানে মৃত্যু, সেটা নয়। ‘ক্রনিক মায়েলয়েড লিউকেমিয়া’এই ক্যান্সারের সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা দেশে রয়েছে। শুধু লম্বা সময় ধরে ওষুধ খেতে হয় এবং এটাও ভালো হওয়া সম্ভব।