১ বছর চলে গেল সুশান্তের মৃত্যুর , কী ঘটেছিল সেদিন

আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ আকাশ দেখতে ভালোবাসতেন। প্রিয় ছিল দূর আকাশের নক্ষত্র। প্রিয় টেলিস্কোপে দুচোখ রেখে রাতের তারার আনাগোনা দেখা ছিল নেশা। তারপর কখন যেন এই দূর আকাশের তারা হয়ে গেলেন সুশান্ত সিং রাজপুত।
দেখতে দেখতে কেটে গেল একটা বছর।  এই দুঃসংবাদ নাড়িয়ে দিয়ে যায় গোটা বলিউড ইন্ডাস্ট্রিকে। প্রিয় তারকার অকালপ্রয়াণে স্তম্ভিত ও শোকাতুর হন ভক্তরা।

 

পুলিশের বলেন নিজের ফ্ল্যাটে আত্মহত্যা করেন সুশান্ত। এখনো ভক্তদের মধ্যে প্রশ্ন, ১৪ জুনের ওই অভিশপ্ত দুপুরে ঠিক কী হয়েছিল? ঘটনার এক বছর পরও অধরা আছে সেই প্রশ্নের উত্তর।

প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে জেনে নিই সেসব কথা।

 

ম্যানেজার সিদ্ধার্থ পিঠানির বক্তব্যে জানা যায়, ‘১৪ জুন সকাল ১০টা-সাড়ে ১০টার দিকে ড্রইংরুমে গান শুনছিলাম। সেই সময় সুশান্তের স্টাফ কেশব এসে আমায় জানায়, স্যার (সুশান্ত) দরজা খুলছে না। এরপর আমি এই কথাটা দীপেশকে বলি। আমরা দুজনে সুশান্তের ঘরের সামনে গিয়ে দরজায় ধাক্কা দিই, কিন্তু কোনো সাড়াশব্দ মেলেনি।

সুশান্ত সিং রাজপুত

ওই সময় সুশান্তের বোন মিতু সিং সিদ্ধার্থ পিঠানিকে ফোন করে জানান, সুশান্তকে ফোন করছেন, জবাব মিলছে না। দরজা ধাক্কিয়েও কোনো উত্তর না পেয়ে মিতু সিংকে জানান সিদ্ধার্থ, দ্রুত তাঁকে আসতে বলেন। এরপর বিল্ডিং গার্ডের কাছ থেকে চাবিওয়ালার খোঁজ নেন দীপেশ। তাঁর কাছ থেকে কোনো খোঁজ না পেয়ে ইন্টারনেট থেকে মুহাম্মদ রাফি নামের এক চাবিওয়ালার নম্বর জোগাড় করে ফোন করেন পিঠানি। বেলা ১টা ২০ মিনিটে নাগাদ সেই চাবিওয়ালা এসে জানান, চাবি তৈরিতে সময় লাগবে। তালা ভাঙার নির্দেশ দেন পিঠানি। ফোনে এই সিদ্ধান্ত মিতু সিংকেও জানান সিদ্ধার্থ। তালা ভাঙা হলে দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করেন তিনি এবং দীপেশ।

 

সুশান্ত মামলার গ্রেপ্তার সিদ্ধার্থ পিটানি আরও বলেন, ঘর ছিল অন্ধকার। আলো জ্বেলে তাঁরা দেখেন, সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে সুশান্তের দেহ। এই ভাবেই চলে গেলেন তারকা সুশান্ত।কিন্তু ভক্তদের মন থেকে মরেনি সুশান্ত।আজীবন জীবিত থাকবে ভক্তদের মনে।

Leave a Reply

Translate »