আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃহার্টের সমস্যায় দিনকে দিন বেড়েই চলছে । বয়স্ক বা প্রাপ্ত বয়স্ক ছেড়ে এখন কম বয়সিরাও এ সমস্যায় ভুকছেন।অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণে এখন কমবয়সীদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে হার্টের সমস্যা। এই গরমে হৃদরোগীদের মধ্যে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেলিওর, অ্যারিদমিয়ার মতো গুরুতর অসুখে যে কেউই আক্রান্ত হতে পারেন।
তাই বিশেষজ্ঞরা বারবার এই অঙ্গের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখতে বলেন। তবুও কেউ সতর্ক নন। তাই হার্টের অসুখে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
আসলে হৃৎপিণ্ড জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত নিরন্তর কাজ করে। এই অঙ্গ হলো শরীরের পাম্প। রক্তকে পাম্প করে দেহের প্রতিটি অংশে পৌঁছে দেয় হার্ট। তাই এই অঙ্গে কোনো জটিলতা দেখা দিলে পুরো দেহেই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, হার্ট সুস্থ রাখার পেছনে ডায়েটের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে এই অঙ্গ নিজের কাজটি সঠিকভাবে করতে পারে।
তবে শুধু খাবার খেয়েই হবে না, বরং হার্ট সুস্থ রাখতে কিছু পানীয়ও নিয়মিত পান করা ভালো। চলুন জেনে নেওয়া যাক গরমে হার্ট সুস্থ রাখতে কোন কোন পানীয়ে চুমুক দেবেন।
- সাইট্রাস জুস
এই গরমে টকজাতীয় ফলের টাটকা রস পার করুন। লেবু’সহ বিভিন্ন সাইট্রাস ফলে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি। একই সঙ্গে মজুত আছে ফ্ল্যাভানয়েডস, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, এসেনশিয়াল অয়েল ইত্যাদি।
দেখা গেছে, এই ধরনের ফলের জুস নিয়মিত খেলে শরীরে জলের ঘাটতি হয় না। এমনকি হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, ব্লাড প্রেশারের মতো অসুখের প্রকোপ কমে বলে জানাচ্ছে হেলথলাইন।
- দুধ চিনি ছাড়া কফি
ব্ল্যাক কফি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। যদিও গরম, তবে চা বা কফিপ্রেমীদের কাছে সব ঋতুই সমান! শুধু স্বাদের জন্য নয়, বরং কফি খেলে শরীরে নানা উপকার মেলে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, কফি খেলে হার্ট সুস্থ থাকে। তাই কফি পান করতে হবে। তবে দিনে ৩ কাপের বেশি কফি নয়। আর অবশ্যই কফিতে চিনি বা দুধ মিশিয়ে খাবেন না।
- টমেটো জুস
টমেটোতে থাকে ভিটামিন সি, ই, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম থেকে শুরু করে নানা উপকারী উপাদান। এছাড়া এতে আছে লাইকোপেন নামক একটি উপাদান।
আরও পড়ুন ঃবর্ষায় ভ্রমন করবেন যে ৫টি জায়গায়
এই উপাদান কিন্তু ধমনির কাজ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, প্রেশার কমায়। তাই হার্টের অসুখ দূরে থাকে। এই কারণেই প্রতিদিন টমেটো জুস খাওয়ার চেষ্টা করুন। তবে এই জুসে চিনি মেশাবেন না। তাহলে কাঙ্খিত ফল অধরাই থেকে যাবে।
- গ্রিন জুস
গ্রিন জুস কথার অর্থ হলো শাক-সবজির জুস। বিভিন্ন সবুজ রঙের শাক-সবজিতে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এমনকি এতে থাকা ফ্ল্যাভানয়েডস প্রদাহ দূর করতে পারে।
ফলে ধমনির ভেতর রক্ত চলাচল হয় সহজভাবে। তাই নিয়মিত গ্রিন জুস খাওয়ার চেষ্টা করুন। এক্ষেত্রে ব্রকোলি সহ বিভিন্ন শাকের জুস করে খেতে পারেন।
- হারবাল চা
চা কিন্তু কিন্তু স্বাদের পাশাপাশি গুণেও শ্রেষ্ঠ। এতে থাকা ফ্ল্যাভানয়েডস ধমনির ভেতর প্রদাহ দূর করে। ফলে হার্টে রক্ত চলাচল ভালো হয়। তবে চায়ে চিনি মিশিয়ে খেলে কিন্তু কোনও লাভই মিলবে না।