সকাল-সন্ধ্যা আল্লাহকে স্মরণ করার ফজিলত

আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ সুরা দাহরের ২৩-৩১ আয়াতে আল্লাহ বলেন, “নিশ্চয় আমি তোমার ওপর পর্যায়ক্রমে কোরআন নাজিল করেছি। তোমার রবের হুকুমের জন্য ধৈর্য ধারণ কর এবং তাদের মধ্য থেকে কোনো পাপিষ্ঠ বা কাফেরের আনুগত্য করো না। সকাল-সন্ধ্যায় তোমার রবের নাম স্মরণ কর আর রাতের একাংশে তার উদ্দেশ্যে সিজদাবনত হও এবং দীর্ঘ রাত ধরে তার তাসবিহ পাঠ কর। তারা ভালবাসে পার্থিব জীবনকে এবং পরবর্তী কঠিন দিনকে উপেক্ষা করে চলে। আমি তাদের সৃষ্টি করেছি এবং তাদের গঠন সুদৃঢ় করেছি। আমি যখন ইচ্ছা করব তখন তাদের পরিবর্তে তাদের অনুরূপ অন্য জাতিকে প্রতিষ্ঠিত করব। নিশ্চয় এটি উপদেশ; তাই যার ইচ্ছা সে তার রবের পথ অবলম্বন করুক। তোমরা ইচ্ছা কর না আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া (অর্থাৎ আল্লাহ কোন কিছু কার্যকর করতে চাইলে তোমাদের মাঝে ইচ্ছে ও শক্তি সঞ্চার করে তোমাদের মাধ্যমে তা কার্যকর করেন)। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।”

এ আয়াতগুলো থেকে যে শিক্ষা ও নির্দেশনা আমরা পাই

১. একেবারে অপারগ না হয়ে পড়লে কোনো পাপিষ্ঠ বা কাফেরের আনুগত্য করা যাবে না। তারা আল্লাহর আনুগত্য বিরোধী কোনো নির্দেশ দিলে তা মানা যাবে না।

২. যে কোনো অভাব, প্রয়োজন, সমস্যা বা বিপদে নামাজ, আল্লাহর স্মরণ ও দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য চাইতে হবে। সকাল-সন্ধ্যা সর্বাবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করতে হবে।

৩. রাতের নামাজ নফল হলেও অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল। রাতের একটা অংশ নামাজ ও আল্লাহর স্মরণে ব্যয় করার চেষ্টা প্রত্যেক মুসলমানেরই করা উচিত।

৪. জগতে আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া কিছুই হয় না। আল্লাহ কোনো কিছু কার্যকর করতে চাইলে মানুষের মধ্যে ইচ্ছা ও শক্তি সঞ্চার করে মানুষের মাধ্যমে তা কার্যকর করেন। তাই আল্লাহর আনুগত্য, নেক আমলসহ যে কোনো কাজে নিজের প্রচেষ্টার পাশাপাশি আল্লাহর সাহায্য চাইতে হবে।

Leave a Reply

Translate »