শ্রীলেখা মিত্রের জীবনের প্রথম ধূমপান যা দিয়ে শুরু করেন

আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ তখন নবম কি দশম শ্রেণির ছাত্রী শ্রীলেখা মিত্র। বাবা সন্তোষ মিত্রের ঘর থেকে প্রথম চুরি করে ধূমপান। সেই প্রথম সুখটান। মনে হয়েছিল যেন স্বর্গ সুখ। সেই সুখ আপাতত অ-সুখের কারণ হয়েছে তার। শ্রীলেখা জানান- ‘‘কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে। গলায় সারাক্ষণ অস্বস্তি। দম নিতেও কষ্ট হচ্ছে। ফুসফুসে যেন বাতাসের অভাব।

তিনি চিকিৎসকের কাছে গেলেই সবার আগে তাকে ধূমপান ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হবে। তাই নিজেই সেই রাস্তায় হাঁটবেন বলে ঠিক করেছেন। অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন তার ভাবনা, আর নয়! এবার সত্যি সত্যিই ধূমপান ছাড়বেন তিনি।

কথায় কথায় জানিয়েছেন, অত ছোট বয়স থেকে ধূমপান শুরু। সবটাই বাবার অজান্তে। ফলে, ঘরে ছাই ফেলার পাত্র যে রাখবেন, সে উপায়ও নেই। কী করতেন তখন? ‘‘আমার ঘরের ফুলদানিতে ছাই ফেলতাম। তার পরে নিজের গায়ে, ঘরে ছড়িয়ে দিতাম সুগন্ধি। বাবা যাতে কিছুতেই টের না পান।’’ এ ভাবেই কলেজ পেরিয়ে অভিনেত্রী অভিনয়ের দুনিয়ায়। এক দিন একটি শট দেওয়ার পরে সেটে দাঁড়িয়ে ধূমপান করছি। হঠাৎ দেখি বাইরে বাবা দাঁড়িয়ে। নিজেকে আড়াল করতে কলাকুশলীদের ভিড়ে মিশে গিয়েছি।

একটার পর একটা সিগারেট শেষ করে বাক্স ফাকা! এ বার কী হবে? নেশা মেটাতে বাধ্য হয়ে শ্বশুরের ঘরে চুপিচুপি মাঝরাতে ঢুকে সিগারেট চুরি করি। ‘‘যে বাবার থেকে নেশা করতে শিখেছিলাম, তিনি শেষের দিকে আমার সিগারেট চুরি করে খেতেন। ধরা পড়লে বলতেন- ‘তোর তো সব দামি সিগারেট!’ বাবার কথা মনে করেই কি এবার ‘ধোঁয়া ছাড়া’ ছাড়বেন শ্রীলেখা?

Leave a Reply

Translate »