আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃশিশুদের টিফিনে এমন খাবার দেওয়া উচিত যা মুখরোচক, সুষম, স্বাস্থ্যসম্মত, পুষ্টিকর এবং উচ্চ ক্যালরিসমৃদ্ধ। পাশাপাশি লক্ষ রাখতে হবে দৈনন্দিন এই খাবারে থাকা চাই বৈচিত্র্য, ভিন্নতা ও নতুনত্ব।
ফল ও সবজি
শিশুদে টিফিনে ফল ও সবজির প্রাধান্য দিতে হবে। এতে করে বাড়ন্ত শিশুদের দেহের ভিটামিন ও মিনেরেলের চাহিদা পূরণ হবে। মৌসুমি ফল ও সবজি টিফিনে দেওয়া যেতে পারে। বিভিন্ন ধরনের ফল যেমন : পেয়ারা, পাকা পেঁপে, নাসপাতি, আম, বড়ুই এবং কমলা, আপেল, আঙুর হতে পারে টিফিনের জন্য উত্তম। ড্রাই ফ্রুটস যেমন কিশমিশ, বাদাম ইত্যাদিও টিফিনে দেওয়া যেতে পারে। গাজর, শসা, টমেটো মিশিয়ে ফলের সালাদ তৈরি করতে পারেন।
আরও পড়ুন ঃত্বকের সুরক্ষায় সানস্ক্রিন
শর্করাজাতীয় খাবার
অনেক শিশু সকালবেলা কিছু খেতে চায় না। এ ধরনের শিশুদের টিফিনে শর্করাজাতীয় খাবার রাখা প্রয়োজন। কারণ শর্করাজাতীয় খাবার দেহে শক্তির জোগান দেয়। নুডলস, ফ্রায়েড রাইস, স্যান্ডউইচ খাওয়ানো যেতে পারে টিফিনে। বিভিন্ন ধরনের কেক, মিষ্টি, পিঠাও টিফিন হিসেবে ব্যবহার করা যায়। বাইরের শিঙাড়া-সমুচার পরিবর্তে ঘরে তৈরি শিঙাড়া-সমুচা টিফিনে দেওয়া যেতে পারে।
আমিষজাতীয় খাবার
ডিম, মুরগির মাংস দিয়ে টিফিন তৈরি করা যেতে পারে। যেমন ডিমের পুডিং, মাংস দিয়ে তৈরি স্যান্ডউইচ ইত্যাদি। বিভিন্ন ধরনের বিনজাতীয় খাবার যেমন মটর, শিমের বীজ সেদ্ধ, যাতে প্রচুর আমিষ রয়েছে টিফিন হিসেবে খাওয়া যায়।
আরও পড়ুন ঃপ্রতিদিন ঠিকঠাক পানি পান করছেন তো?
দুধ দিয়ে তৈরি খাবার
সুজির পায়েস, ওটস দিয়ে তৈরি খাবার যেমন সুস্বাদু, তেমনি স্বাস্থ্যসম্মত। আজকাল বাজারে বিভিন্ন রকমের দই পাওয়া যাচ্ছে, যা টিফিনে খাওয়া যায়।
স্কুলে শিশুরা টিফিন না খেলে তাদের বকা না দিয়ে তার কারণ জানার চেষ্টা করুন। সকালের নাশতা ঠিকমতো খেলেই শিশুরা ভালোভাবে টিফিন খাবে। তাই সকালের নাশতার অভ্যাস শিশুদের করাতে হবে। বাইরের কেনা খাবার শিশুদের নানা শারীরিক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই ঘরের খাবার শিশুদের টিফিন হিসেবে নিরাপদ।