শিরোপা জিতলেন জোকোভিচ

আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ গত জুলাইয়ে উইম্বলডনের ফাইনালে ২০ বছরের তরুণ কার্লোস আলকারাজের কাছে গ্র্যান্ড স্ল্যাম হারিয়েছিলেন নোভাক জোকোভিচ। এবার সেই হারের বদলাই যেন নিলেন সার্বিয়ান মহাতারকা। আলকারাজকে পরাজিত করে এটিপি সিনসিনাসি ওপেনের শিরোপা জিতলেন টেনিসের এই নক্ষত্র।

সোমবার (২১ আগস্ট) বাংলাদেশ সময় সকালে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওতে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ৫-৭, ৭-৬ (৯-৭), ৭-৬ (৭-৪) জেতেন জোকোভিচ। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো সিনসিনাটি মাস্টার্সের শিরোপা নিজের করে নেন তিনি। প্রায় চার ঘণ্টার লড়াই শেষে জয় পেয়ে আবেগী হয়ে নিজের জার্সিটাই কোর্টে ছিঁড়েছেন ৩৬ বর্ষী তারকা।

এদিন প্রথম সেটে হেরে যাওয়ার পরও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে শিরোপা জেতা ২৩ বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম বিজয়ী জোকোভিচ বলেন, ‘এটা সত্যিই ভিন্ন এক ম্যাচ ছিল। এ সম্পর্কে কী বলব বুঝে উঠতে পারছি না। আমি আমার ক্যারিয়ারে যত ম্যাচ খেলেছি এটি সবচেয়ে কঠিন ছিল। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা একই তালে লড়াই করে গেছি। সব মিলিয়ে কঠিনতম একটি ম্যাচের অভিজ্ঞতা অর্জন করলাম।’

আরো পড়ুনঃএশিয়া কাপের দল ঘোষণা করল ভারত

ম্যাচের স্থায়িত্ব ছিল ৩ ঘণ্টা ৪৯ মিনিট, এটিপি ট্যুরের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘতম তিন সেটের ফাইনাল এটিই। দ্বিতীয় সেটে গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হয় জোকোভিচকে। গত মাসে উইম্বলডনের ফাইনালে আলকারাজের কাছে পাঁচ সেটের লড়াইয়ে পরাজিত হওয়া জোকোভিচ যেন অনেকটা প্রতিশোধ নিলেন।

এ বছর ছয়বার র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানটা এই দুজনের মধ্যে ভাগাভাগি হয়েছে। হেড-টু-হেড লড়াইয়ে এখন উভয়ই একটি করে ম্যাচে জয়ী হয়েছে। এ ছাড়া এই নিয়ে ক্যারিয়ারের ৯৫তম ও এটিপি মাস্টার্স ১০০০ টুর্নামেন্টে রেকর্ড ৩৯তম শিরোপা জিতলেন জোকোভিচ।

সিনসিনাটি ওপেন দিয়ে প্রায় দুই বছর পর যুক্তরাষ্ট্রে এককের ম্যাচ খেলতে নামেন জোকোভিচ। গত বছর ইউএস ওপেনে তিনি খেলতে পারেননি কোভিড টিকা না নেওয়ার কারণে। তবে টিকা না নেওয়া বিদেশিদের যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের নিয়ম গত মে মাসে শিথিল করে দেশটি।

এদিকে এই হারের পরও র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থেকেই আগামী ২৮ আগস্ট শুরু ইউএস ওপেনের শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে নামবেন আলকারাজ। নিউ ইয়র্কের ফ্লাশিং মিডোসে একটি ম্যাচ জিতলেই অবশ্য র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠে যাবেন জোকোভিচ।

ফাইনাল হেরে আলকারাজ বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে আমি নিজেকে নিয়ে গৌরববোধ করছি। আমি জানি না কেন আমি কেঁদেছি। তবে আমি শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করেছি। সর্বকালের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়কে প্রায় পরাজিত করেই ফেলেছিলাম। কিন্তু তারপরও যা আমি করে দেখিয়েছি তাতে আমি সত্যিই দারুণ খুশি।’

Leave a Reply

Translate »