শাকিবের বাড়িতে অভিযান; ক্ষুব্ধ শাকিব খান

ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খানকে খানের রাজধানীর নিকেতনের বাড়িতে অভিযান চালায় রাজউক।  নিকেতনের বাড়িতে বর্ধিত অংশ নির্মাণ করার অভিযোগে চালানো হয় এই অভিযান।

এ সময় শাকিব খানের ভগ্নিপতি ও কেয়ারটেকার কাগজপত্র দেখাতে আসলে সেই অসংলগ্নতা ধ’রা পড়ে। ঘটনাস্থলে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করে অনাদায়ে ১ বছরের জেল দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বিষয়টি নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ঢালিউডের এই শীর্ষ নায়ক। কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই রাজউকের হঠাৎ আগমন ও জরিমানায় শাকিব খান বেশ অবাক হয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমা’র ছোট বোনের স্বামী নিকেতনের বাড়ির ওখানে ছিল। হঠাৎ রাজউক থেকে কয়েকজন লোক এলো। এসেই কিছু না বলেই জরিমানার কাগজ দিল। তারপর বাড়ির ওখানে কয়েকজন ছিল, তাদের গাড়িতে উঠতে বলা হলো। আগে থেকেও কোনো নোটিশ করেনি। বুঝলাম না এটা কেমন অভিযান! ‘যারা অভিযানে এসেছিলেন তাঁদের তো বোঝা উচিত ছিল কার বাড়িতে অভিযানে যাচ্ছি।’

বিষয়টি ‘ঠেকিয়ে টাকা নেওয়া’ মনে করছেন শাকিব খান। তাঁর ভাষ্য, ‘বলা হচ্ছে ১০ লাখ টাকা জরিমানা না দিলে এক বছরের জেল দেওয়া হবে! এটা কেমন কথা? এখানে তো গুন্ডা মাস্তানির কিছু নেই।’

এদিকে শাকিব খান বলেন, ‘এটা ইঞ্জিনিয়ারের ব্যাপার। রাজউকের নিয়ম মেনেই বাড়ি বানিয়েছি। ইঞ্জিনিয়ার হয়তো বাড়ির ক্যান্টিলিভার (বারান্দা) এক ফিট বাড়িয়েছে। এটা তো এমন কিছু না যে জেল-জরিমানা করতে হবে। আশপাশে যতগুলো বাড়ি আছে বেশির ভাগই বারান্দা বাড়ানো।

তিনি আরো বলেন, এ বিষয়টি নোটিশ দিয়ে বললেই পারত! এভাবে অভিযান করার তো কিছু নেই। সামান্য বিষয়টিকে কেউ ইনটেনশনালি খোঁচা দিয়েছে। আমি পুরো ব্যাপারটা নিয়ে হতবাক।

আর শুধু আমার বাড়ি কেন? আশপাশে যে বাড়িগুলো আছে সেগুলোতেও দেখুক। সেগুলোতেও বারান্দা বাড়ানো আছে। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আইন সবার জন্য সমান হোক।

আজ এসে ১০ লাখ টাকা চাইল। আগামীকাল এসে অন্য কেউ অভিযান করে বলবে ২০ লাখ টাকা দেন, নইলে জেল দেব। এটা কি ধরনের আইন আমার মাথায় ঢুকছে না!’

এ ব্যাপারে মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘সকাল থেকে নিকেতন এলাকায় রাজউকের ভ্রাম্যমাণ আদালত নিকেতন এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে। অভিযানের সময় শাকিব খান ওরফে রানার বাড়িটি নকশা না মেনে নির্মিত হওয়ায় ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।’

তাৎক্ষণিক জরিমানার টাকা দিতে না পারায় ভবনটির ম্যানেজার মোহাম্মদ ওয়াহেদ ও কেয়ারটেকার তারেক আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে যান রাজউক কর্মকর্তারা।

রাজউকের কর্মকর্তারা জানান, জরিমানার টাকা পরিশোধ করে তাদের ছাড়িয়ে আনতে হবে। একই সঙ্গে ভবনটির যে অংশ নকশাবহির্ভূত, সেই অংশ আগামী ১৫ দিনের নিজ উদ্যোগে অপসারণ করে নিতে হবে বলেও জানান তারা।

জরিমানা করেন রাজউকের নির্বাহী মেজিস্ট্রেট আশরাফ হোসেন।

 

Leave a Reply

Translate »