শতাধিক হোটেল রিসোর্টের সব কটি কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে যে কারণে

আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ দীর্ঘদিন লকডাউন থাকার পর শরতে পাহাড়ের চেনা রূপ দেখতে ভিড় করছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা। পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকছে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র। আর লকডাউনের পর পর্যটনকেন্দ্রে অতিথি বেড়ে যাওয়ায় খুশি এ স্থানের ব্যবসায়ীরাও।

 

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় এক হাজার ৮০০ ফুট ওপরে রাঙামাটির সাজেক ভ্যালি। শরৎকালে সাজেকের মেঘ আর সবুজ পাহাড় পর্যটকদের কাছে অন্যতম একটি আর্কষণীয় স্থান।  লকডাউনের কারণে টানা পাঁচ মাস বন্ধ থাকায় সাজেকের প্রকৃতি আরও বেশি সজীব হয়ে উঠেছে। এখানে সহসাই ধরা দেয় নীল আকাশে সাদা মেঘ। এ ছাড়া সবুজ পাহাড়ের আর্কষণ তো থাকেই। তাই পর্যটনকেন্দ্রগুলো খোলার পর সাজেকে আসছে অনেক ভ্রমণপিপাসু। সেখানে প্রকৃতির ছোঁয়া পেয়ে এবং দীর্ঘদিন পর ভ্রমণ করতে পেরে খুশি তারা।

 

গত ১৯ আগস্ট থেকে পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়ার পর চলতি সপ্তাহে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটির সাজেক ভ্যালিতে পর্যটকদের সমাগম আরও বেড়েছে।

 

সম্প্রতি সাজেকে গিয়ে দেখা যায়, পর্যটকদের পদচারণায় মুখর রুইলুই, হ্যালিপেড, কংলাক পাড়াসহ সাজেকের প্রতিটি পর্যটনকেন্দ্র। সাজেক পর্যটন কর্তৃপক্ষ জানায়, সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় অন্তত দুই হাজার পর্যটক সাজেক ভ্রমণে এসেছেন। সাজেকের রুইলুই ও কংলাক পাহাড়ের প্রায় দেড় শতাধিক হোটেল রিসোর্টের সব কটি কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।

 

সাজেকের খোয়ালবুক রিসোর্টের পরিচালক নুরূল হক নুরু জানান, করোনার কারণে পাঁচ মাস বন্ধ ছিল। এ সময়ে অনেক লোকসান হয়েছে। এখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে রুম বুকিং দেওয়া হচ্ছে। আর পর্যটকদেরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হচ্ছে।এ ছাড়া সরকারি বিধিনিষেধ মেনে রিসোর্টের অর্ধেক রুম বুকিং করা হচ্ছে।

 

পযর্টন মোটেলের ইউনিট ইনচার্জ একেএম রফিকুল ইসলাম জানান পরিস্থিতি স্বভাবিক হলে পযটকদের ভিড় আরও বাড়বে বলে আসা ব্যক্ত করেন।

Leave a Reply

Translate »