রাগান্বিত বোধ হলে যে খাবারগুল এড়িয়ে চলা উচিত

আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃঅতিরিক্ত রাগান্বিত বোধ হলে যে খাবারগুল এড়িয়ে চলা উচিত কারনে শুধু খাবার নয় দেহে ও মনের ওপরেও প্রভাব পড়ে। আবেগ ও খাবার এই দুয়ের মাঝে ম্পর্ক অপ্রতিরোধ্য। কিছু খাবার যেমন চেতনাবোধ ও সুস্থতা উন্নত করে তেমনি কিছু খাবার যেমন- চিনি, রাগের মতো নেতিবাচক আবেগকে বৃদ্ধি করতে পারে।

কিছু খাবার মানুষের  আবেগ বাড়িয়ে তোলে এবং সংযম করার ক্ষমতা হ্রাস করে। পছন্দ হওয়া সত্বেও সেইসকল খাবার বার দেয়া প্রয়োজন।

হেল্থ শটস ডটকমে প্রকাশত প্রতিবেদনে ভারতের ‘কাউন্সিলর কাউন্সিল’য়ের সদস্য এবং ‘ফ্যামিলি থেরাপিস্ট’ অর্চনা সিংহাল এই বিষয়ে বলেন, “রাগান্বিত হলে  খাবারের ওপর নির্ভরশীলতা বেড়ে যাওয়া খুব সাধারণ বিষয়। পেট ভরা থাকলেও এই সময় আমরা খাই। মানসিক চাপে থাকা অবস্থায় খাওয়া খাবার শরীরের নয় বরং মানসিক চাহিদা পূরণ করে। তাই এই সময় ভুল খাবার বেছে নেওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ।”

“রাগান্বিত হলে মানুষ বেশি খায়, এটাও ক্ষতিকর। হজমের সমস্যা যেমন- ডায়রিয়া, ফোলাভাব ও অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে পারে। মানসিক চাপের সময় অতিরিক্ত খাওয়ার পাশাপাশি কী ধরনের খাবার খাওয়া হচ্ছে সেদিকেও খেয়াল রাখা জরুরি।”

আরও পড়ুন ঃচোখের ব্যথা থেকে বাঁচতে করণীয়

প্রভাবক খাবার: প্রভাবক খাবার ও পানীয় যেমন ক্যাফেইন- কফি, শক্তি বর্ধক পানীয়, ব্ল্যাক টি ও নির্দিষ্ট সোডা স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে আবেগকে আরও বাড়িয়ে তুলে।

এর ফলে উদ্বেগ, অস্থিরতা এবং অস্বস্থির মতো আবেগ বৃদ্ধি পায়। ক্যাফেইন ঘুম চক্রের ওপর প্রভাব রাখে যা মন মেজাজকেও প্রভাবিত করে।

চিনি দেওয়া খাবার: উচ্চ শর্করা ধরনের খাবার যেমন- ক্যান্ডি, চকলেট, মিষ্টি পানীয় এবং মিষ্টান্ন রক্তের শর্করার মাত্রাকে প্রভাবিক করে। এর ফলে শক্তিতে ভাটা, মুড সুইং ও বিরক্তিকর অনুভূতি হতে পারে।অতিরিক্ত শর্করা ধরনের খাবার সার্বিক শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

 ফাস্ট ফুড: এই ধরনের খাবারে অস্বাস্থ্যকর চর্বি, বাড়তি উপকরণ ও সংরক্ষক থাকে যা দেহে প্রদাহ বাড়ায় এবং নিউরোট্রান্সমিটার বা স্নায়ু সংবেদকের ভারসাম্য ব্যাহত করতে পারে। ফলে মানসিক অবস্থা ও মেজাজ প্রভাবিত হয়।নিয়মিত প্রক্রিয়াজাত বা ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া দেহে আলসেভাব আনে, শক্তি হ্রাস করে এবং রাগের তীব্রতা বাড়ায়।

রাগান্বিত
রাগান্বিত

 

অ্যালকোহল: অনেকেই রাগ, দুঃখ, কষ্ট বা ক্ষোভ ভুলতে অ্যালকোহল নিয়ে থাকেন যা ঠিক নয়। অ্যালকোহল মানুষের বিচার ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ ক্ষমতাকে ব্যাহত করে, নেতিবাচক আবেগকে তীব্র করে। ঘুমের ওপরেও নেতিবাচক প্রভাব রাখে বলে বিরক্তি বাড়ে এবং মানসিক স্থিতিস্থাপকতা হ্রাস পায়। 

রাগান্বিত
রাগান্বিত

মসলাদার  খাবার: মসলাদার খাবার সাময়িকভাবে দেহের তাপমাত্রা বাড়ায় এবং ‘ফাইট অর ফ্লাইট’য়ের মতো শারীরিক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। এর ফলে রাগ ও মানসিক চাপের মতো আবেগ বাড়ে যা পরে হতাশা ও বিরক্তিকর অনুভূতি সৃষ্টি করতে পারে।

রাগান্বিত
রাগান্বিত

অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত কার্বোহাইড্রেইট: প্রক্রিয়াজাত কার্বোহাইড্রেইট যেমন- সাদা রুটি, পাস্তা, পেস্ট্রি ইত্যাদি রক্তের শর্করা বাড়ায়। ফলে মুড সুইং, অস্বস্তি ও মেজাজের তারতম্য দেখা দেয়। তাই এই ধরনের খাবার বাদ দেওয়া উচিত।

Leave a Reply

Translate »