আইকোনিক ফকাস ডেস্কঃ ঘরদোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন অনেকের ক্ষেত্রেই প্রতিদিনের রুটিন। অনেকে আবার নিয়মিত বিরতিতেও ঘর পরিষ্কারে হাত দেন। এরপরও লক্ষ করা যায় কিছু কিছু জায়গায় যেন ধুলা–ময়লা থেকেই যায়। আবার দেখা যায় এমন কিছু জায়গা বা জিনিস থাকে যা চট করে পরিষ্কার করার কথা মাথায় আসে না। বাড়ির এমনই কিছু জায়গা বা জিনিসের পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন করার কৌশল তুলে ধরা হলো।
প্রথমেই তাকাতে হবে সুইচ বোর্ডের দিকে। কারণ, প্রায় সব বাড়িতেই দেখা যায় সুইচের মাথায় ধুলার পুরু স্তর। তা সে বসার ঘর হোক অথবা রান্নাঘর। কখনো কখনো রান্নাঘরের সুইচ বোর্ডের অবস্থা আরও করুণ। ধুলার সঙ্গে তেল চিটচিটে ভাব। সবার বাসাতেই সুইচ বোর্ডে কিছু অব্যবহৃত সুইচ থাকেই। সেগুলোতে ধুলা–ময়লা জমতে জমতে কালচে হয়ে যায়। এগুলো যে শুধু দেখতে খারাপ দেখায় তা না। এখান থেকে রোগজীবাণুও ছড়াতে পারে। তাই ঘরে পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা শুরু করলে সুইচ বোর্ডের দিকে অবশ্যই বিশেষ খেয়াল রাখা উচিত।
বাড়িতে ছোট বাচ্চাদের নানা ধরনের খেলনা ছড়িয়ে–ছিটিয়ে থাকে ঘরের চারপাশে। এর মাঝে কিছু কিছু খেলনা পরিষ্কার করা বেশ সহজ। কিন্তু কাপড়ের খেলনা বিশেষ করে সফট টয়গুলো পরিষ্কার রাখা বেশ কঠিন। আর দেখা যায় এ জাতীয় খেলনাই বাচ্চাদের বেশি প্রিয়, এমনকি বড়দেরও। কিছুদিন বাইরে থাকলেই সফট টয়গুলো ময়লা হয়ে যায়। পাশাপাশি তখন এগুলো হয়ে ওঠে জীবাণুর আখড়া। খোলা অবস্থায় থাকলে যেকোনো খেলনাই কিছুদিন পরপর পরিষ্কার করা উচিত। আর সফট টয় হলে তো কথাই নেই। প্রয়োজনে মাসে একবার এগুলো পরিষ্কার করা উচিত। তবে খেয়াল রাখার বিষয় হচ্ছে, পরিষ্কার করার আগে সফট টয়ের গায়ের ট্যাগটি ভালোভাবে দেখে নেওয়া উচিত। যদি ওয়াশেবল হয় তাহলে কিছুটা ডিটারজেন্টে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে নরম ব্রাশ দিয়ে ঘষে সহজেই পরিষ্কার করা যাবে।
এরপর রোদে শুকিয়ে নিলেই হয়ে গেল। আর যেসব সফট টয় পানিতে ধোয়া বারণ বা ড্রাই ক্লিন করতে বলা হয়েছে, সেগুলো লন্ড্রিতে দিয়ে পরিষ্কার করিয়ে আনা যেতে পারে। যদি কেউ ঘরেই ড্রাই ক্লিন করতে চান, তাহলে খেলনাটি একটি বড় ব্যাগে ভরে কিছুটা বেকিং সোডা দিয়ে ব্যাগটি ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিতে হবে। এরপর খেলনাটি বের করে ভ্যাকুয়ম ক্লিনারের ব্রাশ দিয়েও পরিষ্কার করা যাবে। ভ্যাকুয়ম ক্লিনার না থাকলে সাধারণ দাঁত মাজার ব্রাশ বা অন্য যেকোনো ধরনের ব্রাশ দিয়েও পরিষ্কার করা যাবে। এরপর শুকনা কাপড় দিয়ে মুছে নিতে হবে।
বাসার মেঝে প্রায় প্রতিদিনই পরিষ্কার করা হয়। কিন্তু সোফার পেছন অথবা খাটের নিচের অংশ থেকে যায় এর বাইরে। তাই কয়েক দিন যেতে না যেতেই এই জায়গাগুলোতে পুরু ময়লার স্তর দেখা যায়। ঘরের যেকোনো কোনা পরিষ্কার করার জন্য ভ্যাকুয়াম ক্লিনারই সবচেয়ে উপযোগী।
আয়নায় দাগ পড়ে যাওয়া খুবই সাধারণ ঘটনা। এই দাগ দূর করার সঠিক কৌশল না জানায়, দাগযুক্ত আয়নার সামনে দাঁড়াতে হয় বারবার। এর জন্য প্রথমে একটি স্প্রে বোতলে হালকা গরম পানি এবং কয়েক ফোঁটা তরল সাবান নিয়ে ভালোভাবে ঝাঁকিয়ে নিয়ে। আয়নায় স্প্রে করতে হবে। এরপর পরিষ্কার শুকনা সুতির কাপড়, পেপার টাওয়েল অথবা খবরের কাগজ দিয়ে আয়না ভালোভাবে মুছে নিলেই দূর হবে দাগ।
ঘর পরিষ্কার করার সময় তালিকায় ফ্যান থাকলেও টিউব লাইটের কথা আমরা প্রায় ভুলেই যাই। টিউবলাইটেও দীর্ঘদিন ধুলা জমতে থাকলে আলোর পরিমাণ কমে আসে। এ ক্ষেত্রেও একটি মগ বা স্প্রে বোতলে পানি এবং অল্প পরিমাণে তরল সাবান মেশান। হালকা করে টিউবলাইটের ওপর স্প্রে করে শুকনা সুতির কাপড় বা পেপার টাওয়েল দিয়ে মুছে নিতে হবে। ময়লা বেশি থাকলে কয়েকবার হালকা করে মুছতে হবে।