আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ চিত্রনায়ক জায়েদ খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘ছায়াবাজ’ সিনেমায় কাজ করতে বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) বাংলাদেশে আসেন পশ্চিমবঙ্গের নায়িকা সায়ন্তিকা ব্যানার্জী। ঢাকায় পা রেখে কক্সবাজারে সিনেমার শুটিংয়ে অংশ নিলেও হঠাৎ নৃত্য পরিচালকের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে শুটিং বন্ধ করে কলকাতায় ফিরে যান তিনি।
সম্প্রতি সিনেমাটিকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ চলছে। এই সিনেমার ভারতীয় অভিনেত্রী সায়ন্তিকা ব্যানার্জী প্রথমে এনেছিলেন গুরুতর অভিযোগ। জানিয়েছিলেন, কক্সবাজারে শুটিং করার সময় অনুমতি না নিয়ে তার হাত স্পর্শ করেছেন সিনেমার নৃত্য পরিচালক মাইকেল। এরপর বেরিয়ে আসে এ নায়িকার অপেশাদার আচরণের কথা।
তবে বিষয়টি নজরে আসে সায়ন্তিকার দেওয়া ভারতীয় এক গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে। সেই সাক্ষাৎকারে প্রযোজককে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন সায়ন্তিকা। আর এর জবাবে নায়িকার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুললেন প্রযোজক।
আরও পড়ুনঃ জানা গেল পরীর মধ্যরাতের স্ট্যাটাসের রহস্য
প্রযোজক মনিরুল ইসলাম বলেন, যৌন হয়রানি নয়, বরং নায়িকাই নৃত্য পরিচালককে ‘লাথি’ মারতে চেয়েছিলেন। মাইকেল প্রযোজকের কাছে জায়েদ-সায়ন্তিকার অপেশাদার আচরণ নিয়ে অভিযোগও করেছিলেন। সায়ন্তিকার সমস্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও হাস্যকর। হাত ধরা নিয়ে সায়ন্তিকার সমস্যা মাইকেল বাবুর সঙ্গে। তিনি পরিচালককে ফোন করে মাইকেল বাবুকে মারতেও চেয়েছিলেন। এখন আমার বিরুদ্ধে সায়ন্তিকা কেন অভিযোগ করছেন, সেটাই তো বোধগম্য নয়।
তিনি আরও বলেন, অপেশাদার আচরণ আমি নই, সায়ন্তিকা করেছেন। চুক্তির বাইরে আমরা তাকে ৫০ হাজার রুপি দিয়েছি (বাংলা টাকায় প্রায় ৬৬ হাজার) পোশাকের জন্য। অথচ তিনি কোনো পোশাক নিয়ে আসেননি। এরপর আবার ড্রেসম্যান মনিরকে দিয়ে পোশাকের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। সেই পোশাকগুলোও সায়ন্তিকা ফেরত দিয়ে যাননি।