ভাত খেয়ে কী হবে টানা এক বছর কেবল খিচুড়ি খেয়ে বেঁচে ছিল পঙ্কজ ত্রিপাঠি

আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে ভারতের গোপালগঞ্জের এক প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে পাটনায় আসেন পঙ্কজ।  এক বছর পঙ্কজ ত্রিপাঠি কেবল খিচুড়ি রান্না করে খেয়েছেন। হাতের কাছে যা পেতেন-ডিম, পালংশাক, গাজর, মাংস, চাল, ডাল, বেঁচে যাওয়া তরকারি-সবকিছু মিলিয়ে তিনি খিচুড়ি রান্না করতেন। প্রতিদিন রাতে পেটভরে খিচুড়ি খেয়ে ঘুমাতেন। এভাবেই পঙ্কজ নানা ধরনের খিচুড়ি রান্নার বিষয়ে এক্সপার্ট হয়ে ওঠেন।

 

 

পঙ্কজ এই অনুষ্ঠানে খিচুড়ি রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় মসলা আর ঘি নিজের বাসা থেকে নিয়ে এসেছিলেন। ভারতের যে এলাকা যে মসলার জন্য বিখ্যাত, পঙ্কজদের বাড়িতে সেখান থেকে সেই মসলা এনে রান্না করা হয়। কেননা, রান্নার জন্য স্বাস্থ্যকর তেল আর মসলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পঙ্কজ প্রথমে চুলা জ্বালান। আর মজা করে বলেন, রান্নার জন্য চুলা জ্বালানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এরপর তিনি প্রেশার কুকারে ঘি ঢালেন। এরপর তিনি গরম ঘিতে গরমমসলা আর শুকনা মরিচ দেন। এরপর ঘিয়ের ভেতর একে একে আদা, রসুন, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ দেন। চাল, ডাল, হলুদ, লবণ দেন। এরপর পানি দিয়ে প্রেশার কুকারের মুখ বন্ধ করে দেন।

 

 

পঙ্কজ জানান, ‘মিমি’ সিনেমার সেটেও তিনি নিয়মিত খিচুড়ি রান্না করেছেন। পঙ্কজ জীবনে যে খাবারটি সবচেয়ে বেশি রান্না করেছেন, সেটি ম্যাগি নুডলস বা ডিমভাজি নয়, সেটির নাম খিচুড়ি। আর প্রতি দুপুরে বাটিতে করে ইউনিটের সবাই পঙ্কজের খিচুড়ি খেয়েছেন। বিশেষ করে পরিচালক লক্ষ্মণ উতেকার, কৃতি শ্যানন, সুপ্রিয়া পাঠক, মনোজ পাওয়ার, সাই, প্রযোজক দীনেশ ভিজানসহ অনেকে।

 

 

পঙ্কজ বলেন, তাঁর পছন্দের খাবার নাকি কুমড়োর পাতা দিয়ে তৈরি একধরনের আচার। সেটা রসুন আর কাঁচা মরিচ দিয়ে বানায়। পঙ্কজ অভিনেতা হওয়ার আগে হোটেলে কাজ করেছেন। তাঁর কাছে অভিনয়টা অনেকটা রান্নার মতোই। দুটোতেই কল্পনাশক্তি খুব গুরুত্বপূর্ণ। রান্নার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো লবণের মাত্রা। যেন কাঁচা কাঁচা থেকে না যায়। যেন বেশি রান্না হয়ে না যায়। অভিনয়ের ক্ষেত্রেও নাকি একই ব্যাপার। সেই লবণটা হলো ইমোশন। ইমোশনটা ঠিকঠাক রাখতে হয়। বেশি বা কম হলে নষ্ট হয়ে যায়।

Leave a Reply

Translate »