আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ অতিরিক্ত ওজন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর । যা শরীরের বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করতে পারে।হতে পারে হৃদরোগ,স্ট্রোক, টাইপ টু ডায়াবেটিসের মতন রোগ । অনিয়মিতি খাদ্যভ্যাস এবং আরও নানা কারনে পেটের মেদ বাড়তে পারে।
কিছু কৌশল অবলম্বন করলেই এ থেকে সমাধান পাওয়া সম্ভব । আসুন জেনে নেই সেসব –
প্রোটিন বেশি খান
সকালে মাখন পাউরুটি বা দুধ-সিরিয়াল খাচ্ছেন? তার বদলে ডিম সিদ্ধ খান দুটো করে। এইভাবেই প্রোটিনের পরিমাণ বাড়ান সহজ উপায়। তাতে খিদে কম পায় এবং খাওয়ার পর আগামী বেশ কিছু ঘণ্টা শরীরে ক্যালোরি কম যায়।
ধীরে খান
ধীরে ধীরে অল্প পরিমাণে খান। ভাল করে চিবিয়ে নিয়ে তবেই খাবার গিলবেন। আমাদের মস্তিষ্ক শরীরকে ইঙ্গিত পাঠায় কখন খিদে মিটছে। কিন্তু তা করতে একটু সময় লাগে। তাই ধীরে ধীরে খান। কত তাড়াতাড়ি আপনি খাবার শেষ করছেন, তার উপর নির্ভর করে আপনার ওজন।
ছোট প্লেট নিন
যখনই তেলেভাজা বা ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজের মতো অস্বাস্থ্যকর খাবার খাচ্ছেন, ছোট প্লেট নিন। বড় প্লেটে অল্প নিলে মনে হবে, আরও খাবার নেওয়া প্রয়োজন। তাতে বেশি খাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়।
আরও পড়ুন ঃ দীর্ঘদিন আদা টাটকা রাখার উপায়
অস্বাস্থ্যকর খাবার দূরে রাখুন
চানাচুর, মিষ্টি, চিপস বা চকোলেট চোখের আড়ালে রাখুন। রান্নাঘরের তাকের পিছনে দিকে তুলে রাখতে পারেন। তার বদলে ড্রাই ফ্রুট বা বাদাম জাতীয় স্বাস্থ্যকর খাবার সামনের দিকে রাখুন। যাতে খিদে পেলে এগুলো খেতে পারেন।
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান
গবেষণা বলছে ভিসকস ফাইবার বেশি খেলে ওজন কমার সম্ভাবনা বাড়ে। এই ধরনের ফাইবার ফ্ল্যাক্সসিড, ওটস, কমলালেবু, বিনের মতো খাবারে পাবেন। তাই রোজকার খাদ্যতালিকায় এগুলো রাখতে পারেন।
পানি পান করুন খাওয়ার আগে
পানি নিয়ম মেনে পান করলে খিদে কম পাবে এবং হজমের সমস্যাও মিটবে। তাতে ওজন কমার সুযোগ থাকবে বেশি। বিশেষ করে দুপুর বা রাতের খাবার খাওয়ার আগে পানি পান করতে পারেন। তাতে বেশি পান করার প্রবণতা কমবে।
পানীয় নিয়ে সাবধান
ফলের রস খাবেন বলে প্যাকেট কিনে আনেন দোকান থেকে? এই কৃত্রিম ভাবে তৈরি ফলের রসে যে পরিমাণ চিনি থাকে, তাতে ওজন ঝট করে বেড়ে যেতে পারে। প্যাকেটের লাচ্ছি, ফ্লেভার দেওয়া দুধ, সোডা, ঠান্ডা পানীয় জাতীয় খাবার একদম বাদ দিয়ে দিন। তার বদলে চা, কফি বা গ্রিন টি খান চিনি ছাড়া। খুব অসুবিধা হলে মধু মেশাতে পারেন।
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ
কম ঘুম এবং মানসিক চাপ বেশি থাকলে ওজন বাড়বেই। তাই রোজ এক সময়ে ঘুমোতে যান। ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন। কোনও বিশেষ কারণে মানসিক চাপ থাকলে সেগুলোর সমাধান করার চেষ্টা করুন। কী করলে চাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে সেগুলো খুঁজে বার করুন। যেমন যোগাভ্যাস বা ডায়েরি লেখা বা বাগান করা।
অল্প পরিমাণ খাবার নিন
প্রতিটি পদই যদি সামান্য কম পরিমাণে খান, তা হলেও অনেকটি ক্যালোরি কম যাবে শরীরে। ধরুন ভাত সামান্য কম খেলেন, বা বাটার চিকেনের গ্রেভিটা কম নিলেন, চাটনি যতটা খান তার চেয়ে অল্প পরিমাণে নিলেন— এই ধরনের অভ্যাসগুলো যদি তৈরি করতে পারেন, তা হলে ওজন কমবেই।