আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ রান তাড়ায় নেমে আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করেছিলেন পাথুম নিশাঙ্কা। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই আরেক ওপেনার দিমুথ করুনারত্নেকে (১) বোল্ড করে দেন তাসকিন আহমেদ। ১৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। পরের ওভারেই ফের সাফল্য।
তরুণ পেসার শরীফুল ইসলামের বলে অসাধারণ ক্যাচ নেন মুশফিক। পাথুম নিশাঙ্কা ফিরেন ১৩ বলে ১৪ রান করে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৫ রান।
এর আগে পাল্লেকেলেতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪২.৪ ওভারে মাত্র ১৬৪ রানে অল-আউট হয় সাকিব আল হাসানের দল।
মহিশ থিকশানার করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই এলবিডাব্লিউ হন অভিষিক্ত তানজিদ তামিম (০)। আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ দীর্ঘদিন পর ওয়ানডেতে সুযোগ পেয়েও আউট হন ২৩ বলে ১৬ রানে। অধিনায়ক সাকিব ৫ রানে ফিরলে ৩৬ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এমতাবস্থায় নাজমুল হোসেন শান্ত এবং তাওহীদ হৃদয়ের ৫৯ রানের জুটি আশা জাগিয়েছিল।
আরো পড়ুনঃআইসিসির বিশেষ তালিকায় স্থান পেলো তাসকিন
সেই আশা দূরাশায় পরিণত হয় ৪১ বলে ২০ রান করা হৃদয়ের বিদায়ে। রিভিউ নিয়ে তাকে লেগ বিফোর করে শ্রীলঙ্কা।
৯৫ রানে বাংলাদেশের ইনিংসের অর্ধেক শেষ হলে শান্তর সঙ্গী হন মুশফিক। এই জুটিও সম্ভাবনা জাগিয়েছিল। কিন্তু পারলেন না মুশফিক।
পাথিরানার বলে করুনারত্নের তালুবন্দি হওয়ার আগে করেন ১ বাউন্ডারিতে ১৩ রান। পঞ্চম উইকেট জুটি ভাঙে ৩২ রানে। সঙ্গীহীন হয়ে পড়েন শান্ত। পরের ব্যাটারদের মধ্যে মিরাজ (৫), শেখ মেহেদি (৬) কেউই তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত শান্তর ১২২ বলে ৭ চারে ৮৯ রানের ইনিংস শেষ হয় মহিশ থিকশানার বলে বোল্ড হয়ে। এরপর পাথিরানার বলে মুস্তাফিজ (০) এলবিডাব্লিউ হলে ৪২. ৪ ওভারে ১৬৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। পাথিরানা নেন ৩২ রানে ৪ উইকেট। এছাড়া ২ উইকেট নেন মাহিশ থিকশানা।