রুচি ও নান্দনিকতায় আপনার সেরা ঘর

আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ সুন্দর সাজানো গোছানো বাসা। সবার কাছে পছন্দের। অনেকে অন্যের বাসা সাজানো-গোছানো দেখে ভাবে, যদি এভাবে আমিও সাজাতে পারতাম নিজের ঘর, যা দেখলেই অন্যেরও মনে হবে একই ভাবে সাজাতে। অনেকেই হয়তো বলবে, তার চাই ছবির মতো বাড়ি। আসলে প্রতিটি মানুষেরই সাজানো-গোছানোর রয়েছে স্বতন্ত্র ধারা। কে কীভাবে বাড়ি সাজাবে, তা একদিকে যেমন নির্ভর করে তার ব্যক্তিগত রুচির ওপর, অন্যদিকে তার শৌখিনতা আর চাহিদা অনুযায়ী।

 

আপনি কীভাবে আপনার বাড়িকে সবার কাছে তুলে ধরতে চান সেটা আপনার ব্যক্তিগত ইচ্ছা। তাই বাড়ি যেমনই হোক, নিজের হাতে যত্ন সহকারে সাজালেই আপনার হাসিতেই হেসে উঠবে আপনার ঘর। অনেকেরই ধারণা, ঘর সাজাতে বিশেষ বিশেষ জিনিস প্রয়োজন এবং তা হতে হবে বেশ দামি। এমন ধারণা একেবারেই ভুল। সবার প্রথমে প্রয়োজন রুচি ও নান্দনিকতা বোধ। আরও একটি বিষয় সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা প্রয়োজন, রঙের বিন্যাস। কারণ কালার প্যালেট এ ক্ষেত্রে একটা বড় ভূমিকা পালন করে। রং এমনই একটি বিষয়, যা চাইলেই পালটে ফেলা সম্ভব নয়। তাই কিছুটা নিজের মতো করে আর কিছুটা নিজের ক্রিয়েটিভিটি দিয়ে বাড়ি সাজান।

 

 

 

ঘড় সাজানোর সহজ কিছু বিষয় হল। রঙিন কাচের বোতল এখন খুবই সহজলভ্য। অথবা বাড়িতে থাকা পরিত্যক্ত কাচের বোতলও নিজের মতো রং করে নেওয়া যায়। এতে রাখতে পারেন ফুল। ঘরের কোণে সাজিয়ে রাখলেও সুন্দর দেখাবে। মোমবাতি বা স্পার্ক লাইট দিয়েও সাজানো যায়।

 

 

 

 

গোছানো বা সাজানোর ক্ষেত্রে পুরো বাড়িতে সামঞ্জস্য রাখাটাও জরুরি। তার মানে এই নয় যে একই ধরনের জিনিস কিনতে হবে। তবে প্রতিটা ডেকোরেটিভ পিসের যেকোনো একটা মিল থাকতে পারে। তা রং, আকার বা উপাদানে হতে পারে।

শুধু ঘর সাজালেই হবে না, সেগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার দিকেও নজর দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে যাঁদের বাড়িতে ধুলোর রাজত্ব বেশি, তাঁরা খুব ছোট ডেকোরেটিভ পিসের বদলে বড় পিস রাখলে পরিষ্কার করতেও সুবিধে হবে।

ঘর সাজাতে একটি কথা বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে, অনেক বেশি শো পিস বা ডেকোরেটিভ পিসে ঘর ভরে ফেলবেন না। কারণ, বাড়ি তো আরামের জায়গা, তাকে অযথা জিনিসে ভরিয়ে তুললে চোখের এবং নিজের আরাম নষ্ট হবে। পরিমিতিবোধটা থাকতেই হবে, যা অন্যের অন্দর থেকে আপনার অন্দরকে আলাদা করবে। বানাবে সুন্দর।

Leave a Reply

Translate »