আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ হজরত মুহাম্মদ (সা.) বিদায় হজের ভাষণে নারীর প্রতি সুবিচার করার নির্দেশ দিয়েছেন। একইভাবে তিনি নারীর মর্যাদাপূর্ণ জীবন লাভের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। নারীদের প্রতি হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর কয়েকটি নির্দেশনা তুলে ধরা হলো-
ছোট ছোট পাপ পরিহার করা : নারীদের ভেতর পরচর্চা, পরশ্রীকাতরতা ও হিংসার প্রবণতা দেখা যায়। এ ছাড়া সময় ও অর্থ অপচয়ের আসক্তি রয়েছে অনেকের। হজরত মুহাম্মদ (সা.) নারীদের ছোট ছোট গুনাহ পরিহারের নির্দেশ দিয়েছেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, হে আয়েশা, আমল বিনষ্টকারী বিষয় (ছোট গুনাহ) থেকে বেঁচে থাকো। কেননা আল্লাহ তা প্রত্যাশা করেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৪৩৮৪)
ছোট ছোট মন্দ অভ্যাস ও পাপকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। অথচ এর পরিণতি ভয়াবহ। আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন, আজ তোমরা কোনো কোনো কাজকে চুলের চেয়ে ছোট (তুচ্ছ অর্থে) মনে করো, অথচ আমরা হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর যুগে তাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ মনে করতাম। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৩)
তাকওয়া অর্জন : তাকওয়া বা খোদাভীতি মুমিনজীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ। ইসলামে মানুষের মর্যাদা ও সম্মান নির্ধারিত হয় তাকওয়ার মাধ্যমে। আল্লাহ বলেন, নিশ্চয় তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি সবচেয়ে সম্মানিত, যে সবচেয়ে বেশি খোদাভীরু। (সুরা হুজরাত, আয়াত : ১৩)
আরও পড়ুনঃ মাথা ফাটে রাজের, হাত কাটে পরীর
সময়মতো নামাজ আদায় : নারী যদি সময়মতো সুন্দরভাবে নামাজ আদায় করে তাহলে জামাতে নামাজ আদায়ের সওয়াব পাবে। তাই কাজের অজুহাত বা অলসতা করে মুমিন নারী নামাজ বিলম্বিত বা কাজা করবে না। হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, নারী যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, রমজানের রোজা রাখে, আব্রু রক্ষা করে, স্বামীর নির্দেশ মান্য করে, তবে জান্নাতের যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশ করতে পারবে। (সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস : ৪১৬৩)
শালীন ও সংযত চলাচল : ইসলাম নারী-পুরুষ উভয়কে শালীনভাবে চলার নির্দেশ দিয়েছে। নারী-পুরুষ সবার জন্যই বলা হয়েছে, লজ্জা ঈমানের অঙ্গ। শুধু ইসলাম নয়, পৃথিবীর সব ধর্মই নারীকে শালীন ও সংযত পোশাক পরিধানের নির্দেশ দিয়েছে। আল্লাহ বলেন, তোমরা ঘরে অবস্থান করো এবং জাহেলি (বর্বর) যুগের মতো নিজেদের প্রদর্শন কোরো না। (সুরা আহজাব, আয়াত : ৩৩)