আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃবর্তমানে বেশিরভাগ ডেলিভারিই হচ্ছে সিজারিয়ান পদ্ধতিতে। কিন্তু নরমাল ডেলিভারি বা স্বাভাবিক প্রসব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি শিশু ও মায়ের জন্য।
তাই জেনে নিন- নরমাল ডেলিভারি হওয়ার উপায় সম্পর্কে-
নিয়মিত ব্যায়াম করুন
গর্ভ অবস্থায় ব্যায়াম অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ব্যায়ামের কারণে আপনার পেশী ও উরু দুনোটা শক্তিশালী হবে।এতে প্রসব বেদনার চাপ সহ্য করা সহজ হয়ে উঠবে। পাশাপাশি স্ট্রেস কমে যায় ও শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।কেগেল ব্যায়াম করতে পারেন যা পেলভিক মাসল নামক মাংসপেশিকে দঢ় এবং শক্তিশালী করে।এর ফলে খুব সহজেই নরমাল ডেলিভারি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।এ সমস্ত ব্যায়াম অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী করবেন। অন্যথায় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন ঃকেমন হবে শিশুদের টিফিনের খাবার
নিয়মতান্ত্রিক ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে
নরমাল ডেলিভারি হওয়ার উপায় হলো পুষ্টিকর খাবার খাওয়া যা গর্ভবতী মহিলাকে শক্তিশালী করে তুলে এবং সুস্থ রাখে। ফলে নরমাল ডেলিভারি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা বেড়ে যায়।পাশাপাশি গর্ভের শিশুর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এবং তার গঠনের ক্ষেত্রে পুষ্টিকর খাবার অনেক সাহায্য করে। তবে নিয়মতান্ত্রিকভাবে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে যাতে করে শরীরের ওজন বেশি বেড়ে না যায়।এতে করে নরমাল ডেলিভারি হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। তাই অবশ্যই খাবারের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।
বেশি বেশি পানি খাবেন
পানি খাওয়া গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। পানি খেলে নরমাল ডেলিভারি হওয়ার অনেক সম্ভাবনা থাকে ।পাশাপাশি লেবার পেইন কমাতে অনেকটা সাহায্য করে , কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে দেয় এবং শরীরের রক্ত চলাচল ঠিক থাকে।তাই প্রতিদিন কমপক্ষে দুই লিটার পানি পান করবেন। পাশাপাশি প্রতিদিন উষ্ণ গরম পানিতে অল্প সময় বসে থাকুন।
আরও পড়ুন ঃবাদাম কাঁচা না ভাজা কোনটি বেশি স্বাস্থ্যকর?
নিয়মিত দম চর্চা করুন
একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য দম চর্চা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এতে করে স্ট্রেস অনেক কমিয়ে ফেলে।পাশাপাশি শরীরে এনার্জি তৈরি করে , পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন পায় গর্ভের বাচ্চা এবং গর্ভের বাচ্চা বৃদ্ধি ও গঠনের ব্যাপারে অনেক সহায়তা করে। তাই অবশ্যই নিয়মিত দম চর্চা করবেন।
নিয়মতান্ত্রিক হাঁটা-চলা করুন
গর্ভবতী মহিলার জন্য সকাল – সন্ধ্যায় হাঁটা-চলা করা অনেক লাভজনক। কেননা সকাল সন্ধ্যায় নিয়মিত হাঁটা-চলা করলে শরীর সুস্থ থাকে , মন ফ্রেশ থাকে এবং শরীরের ওজন কমে যায়। ফলে নরমাল ডেলিভারি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা বেড়ে যায়।
নিয়মিত চেকআপ করাবেন
গর্ভাবস্থায় নিয়মিত শরীর চেকআপ করাবেন। যেমন :
- ডায়াবেটিস আছে কিনা থাকলে নিয়ন্ত্রণ আছে কিনা ? এ ব্যাপারে চেকআপ করাবেন।
- প্রেসার নিয়ন্ত্রণে আছে কিনা ?
- শরীরের রক্ত ঠিক আছে না কমে গেছে ?
- ক্যালসিয়াম এর ঘাটতি আছে কিনা ?
ইত্যাদি এসব বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। আশা করি উপরে বর্ণিত নরমাল ডেলিভারি হওয়ার উপায় গুলো ফলো করলে ১০০% খুব সহজে নরমাল ডেলিভারি হবে।