তুরস্কের সবচেয়ে সুন্দর ৪টি স্থান

আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃবিশ্বের কয়েকটি দর্শনীয় দেশগুলো মধ্যে অন্যতম হলো তুরস্ক। প্রাকৃতিক দৃশ্যে ভরপুর তুরস্কে আছে পাহাড়-পর্বত, সমুদ্র, হ্রদ, জলপ্রপাত, নদী, বন এবং এমনকি উষ্ম জলস্রোত। প্রকৃতি তার সবটুকু সৌন্দর্য যেন ঢেলে দিয়েছে।

ঐতিহাসিক এবং অতি আধুনিক শহর হিসেবে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি লাভ করেছে। তুরস্কের খাবারেও জনপ্রিয় অনেক। বিশেষ করে তুর্কি চা ও কফি সব দেশের মানুষের কাছেই সমাদৃত।

তুরষ্ক মূলত একটি পর্বতবেষ্টিত উচ্চ মালভূমি। দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার আনাতোলিয়া উপদ্বীপের সম্পূর্ণ অংশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের বলকান উপদ্বীপের দক্ষিণ প্রান্তের অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত এ দেশটি। ফলে ভৌগলিকভাবে দেশটি একইসঙ্গে ইউরোপ ও এশিয়ার অন্তর্ভুক্ত।

তুরস্কের জনসংখ্যা প্রায় সাত কোটি ১৫ লাখ। সিআইএ ফ্যাক্টবুক অনুসারে, তুর্কি পুরুষের গড় আয়ু ৭০ দশমিক ৬৭ বছর ও মহিলাদের গড় আয়ু ৭৫ দশমিক ৭৩ বছর। মোট জনসংখ্যার গড় আয়ু ৭৩ দশমিক ১৪ বছর।

তুরস্কে বেশ কয়েকটি দর্শনীয় স্থান আছে। এ কারণেই অবসর যাপনে বিশ্বের দূর-দূরান্ত থেকে পর্যটকরা ছুটে আসেন। যদি কখনো সময় করে এ দেশে ঘুরতে যেতে যান; তাহলে অবশ্যই কয়েকটি দর্শনীয় স্থানে ঢুঁ মেরে আসতে ভুলবেন না।

ইস্তাম্বুলঃ

ভ্রণপিপাসুরা তুরস্কে গেলে প্রথমেই ইস্তাম্বুল দিয়ে শুরু করেন। একসময় অটোমান এবং বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল এই ইস্তাম্বুল। পৃথিবীর একমাত্র শহর এটি, যেখান থেকে দুটি মহাদেশে প্রবেশ করা যায়- ইউরোপ ও এশিয়া। এ শহরটিই তুর্কি চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন শিল্পের কেন্দ্রবিন্দু।

এ শহরে গিয়ে দেখতে পাবেন ঐতিহাসিক সব নির্মাণ। এর মধ্যে অটোমান টপকাপি প্রাসাদ, হাগিয়া সোফিয়া এবং ভূ-গর্ভস্থ বেসিলিকা সিস্টারন। সেখানে গিয়ে শপিং করতে পারেন গ্র্যান্ড বাজারে। এ ছাড়াও চমৎকার নীল মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে পারবেন। গ্যালাটা টাওয়ারে দাঁড়িয়ে শহরের পুরো সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।

আঙ্কারাঃ

তুরস্কের রাজধানী এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আঙ্কারা। এখানেই তুরস্কের বেশিরভাগ তারকারা বাস করেন। এ শহরেই আছে তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের সমাধি। অ্যানাটোলিয়ান সভ্যতার জাদুঘরসহ আরও অনেক দর্শনীয় জাদুঘর আছে এ শহরে।

এ ছাড়াও নামকরা সব স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থানও আঙ্কারায়। যেখানে আপনি খুঁজে পাবেন শিল্প ও সংস্কৃতির বিশাল ভাণ্ডার। শহরের প্যানোরামিক ভিউ উপভোগ করতে ওল্ড কোয়ার্টারের উলুস বেন্টড্রেসে অবস্থিত আঙ্কারা সিটাডেলে যেতে পারেন।

বোড্রামঃ

সৈকত প্রেমীদের আনাগোনায় সবসময় ব্যস্ত থাকে বোড্রাম। শহরটি এজিয়ান সাগরের পাশে। এ কারণেই দর্শনার্থীরা ভূ-মধ্যসাগর দর্শনে বোড্রামে যান। প্রচুর ক্যাফে, রেস্তোঁরা এবং বিলাসবহুল হোটেল আছে বোড্রামে। সেখানে গেলে আপনি দেখতে পাবেন বোড্রাম ক্যাসল, আন্ডারওয়াটার প্রত্নতত্ত্বের প্রাচীন সংগ্রহশালা, প্রাচীন বোড্রাম থিয়েটার এবং মেন্ডস গেট।

কাস, আন্টালিয়াঃ

নিরিবিলি অবকাশ যাপনের জন্য কাস হলো অন্যতম এক স্থান। এটি একটি শান্ত সমুদ্র উপকূলীয় শহর। এটি তুরস্কের ভূ-মধ্যসাগরীয় উপকূলরেখার আন্টালিয়া অঞ্চলে অবস্থিত। এখানে গেলে আপনি সমুদ্রতলের অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।

কারণ সেখানকার সমুদ্রে নেমে আপনি ডাইভিং প্রশিক্ষকের সঙ্গে আপনি সমুদ্রের গভীরে ভ্রমণ করতে পারবেন। সমুদ্র উপকূলের ক্যাফে ও বর্ণিল রাস্তাগুলোতে হাঁটতে হাঁতে আপনি কল্পনারাজ্যে হারিয়ে যাবেন।

বুরসাঃ

একসময় অটোমান রাজ্যের রাজধানী এবং শিল্প কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল বুরসা। এর গুরুত্ব আজও অব্যাহত। এখানে আছে সুউচ্চ সব পাহাড় ও পর্বতামালা। শীতকালে পর্বতারোহীদের গন্তব্য হয়ে ওঠে বুরসা।

সেখানকার কুমিলাকিজাকে দেখতে পাবেন অদ্ভুত বাঁধাকপির মতো রাস্তা। এটি শহরের কেন্দ্রের ঠিক বাইরে একটি সংরক্ষিত অটোমান গ্রাম। পেইন্টিং, ফিলোগ্রাফি, সিরামিকস এবং টাইলস, ক্যালিগ্রাফি, মেটাল আর্ট সবকিছুর জন্য বিখ্যাত এ স্থানটি।

Leave a Reply

Translate »