আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ কিশমিশ হলো আঙ্গুর ফলের শুকনো রূপ। কিশমিশ তৈরি হয় সূর্যের তাপ বা মাইক্রোওয়েভ ওভেনের তাপের মাধ্যমে। তাপের কারণে আঙ্গুরের ভিতরে থাকা ফ্রুক্টোজগুলো জমাট বেঁধে পরিণত হয় কিশমিশে।
কিশমিশে ওজন অনুসারে ৭২% শর্করা থাকতে পারে যার বেশির ভাগ ফ্রুক্টোজ এবং গ্লুকোজ। এগুলিতে প্রায় ৩% প্রোটিন এবং ৩.৭% –৬.৮% ফাইবার রয়েছে।
আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিওলজির ৬১ তম বার্ষিক বৈজ্ঞানিক অধিবেশন ২০১২-তে উপস্থাপিত উপাত্ত থেকে জানা যায় যে রক্তচাপ হালকা পরিমাণে বৃদ্ধি পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে কিশমিশের নিয়মিত সেবন (দিনে তিনবার) রক্তচাপকে অন্যান্য সাধারণ স্ন্যাকস খাওয়ার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করতে পারে
কিশমিশ খেতে আমরা অনেকেই পছন্দ করি। তবে এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানি না।
৭২ শতাংশ খাঁটি এই ফ্রুক্টোজ সহজেই হজমযোগ্য। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের জন্য খাদ্যতালিকায় কিশমিশ রাখতে পারেন।
তাহলে জেনে রাখুন কিশমিশের কিছু পুষ্টিগুণ-
দেহে শক্তি সরবরাহ করতে, দাঁত এবং মাড়ির সুরক্ষাতে, হাড়ের সুরক্ষাতে, ইনফেকশনের সম্ভাবনা দূরীকরণে, ক্যান্সার প্রতিরোধে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে, সরক্তশূন্যতা দূর করতে, জ্বর নিরাময় করতে, দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধিকরনে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে, এন্টি কোলেস্ট্রোরেল উপাদানে, অনিদ্রা, এসিডিটি কমাতে, পরিপাক তন্ত্রের উপকারিতায়, মুখের স্বাস্থ্য রক্ষাকরনে, ওজন বাড়াতে এবংমস্তিষ্ককে সচল রাখতে কিসমিসের তুলনা হয়না।
এছাড়াও কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে লৌহ আছে, যা রক্তশূন্যতা দূর করে। নিয়মিত কিশমিশ খেলে বৃদ্ধ বয়সেও দৃষ্টিহীন হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। অতিরিক্ত অ্যাসিডিটি বা রক্ত দূষিত হওয়াকে বলে অ্যাসিডোসিস, যা থেকে আথ্রাইটিস, চামড়া রোগ, হৃদরোগ এবং ক্যান্সার হতে পারে। অ্যান্টাসিডস হিসেবে পরিচিতি দুটি উপাদান ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম শরীরের ক্ষরীয়ভাব স্বাভাবিক করে অ্যাসিডোসিসের হাত থেকে বাঁচায়। আর এই উপাদানগুলো কিশমিশে রয়েছে। এমনকি বিষাক্ত পদার্থ দূর করে রক্ত পরিষ্কার রাখে কিশমিশ। এ ছাড়া রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
কিসমিসে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন বিদ্যমান আছে। এতে এমন কোন ক্ষতিকর উপাদান নেয়, যার ফলে দেহের কোন ক্ষতি হতে পারে। তাই আপনারা নিশ্চিন্তে কিসমিস খেতে পারেন।