সুপারস্টার মানে তার নামের ওপর চলবে সিনেমা। তিনি একার কাঁধে বৈতরণি পার করবেন। যদি এর অন্যথা হয়? তা হলে তাঁকে টাকা ফেরত দিতেও হতে পারে। না হলে তিনি কীসের তারকা? দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি বরাবরই তারকাসর্বস্ব। রজনীকান্ত, কমল হাসনের ছবি মানেই কয়েক শো কোটি টাকার ব্যবসা নিশ্চিত। কিন্তু অন্য রকম কিছু হলে তাঁরা ডিস্ট্রিবিউটরদের টাকা ফেরতও দিয়ে থাকেন।
জানুয়ারি মাসেই মুক্তি পেয়েছিল রজনীকান্তর ‘দরবার’। আশানুরূপ ব্যবসা করতে পারেনি এ আর মুরগাদোস পরিচালিত ছবিটি। ২০০ কোটি টাকা বাজেটের ছবি বক্স অফিস থেকে ২০০ কোটিই উদ্ধার করতে পেরেছে। ফলে ডিস্ট্রিবিউটরদের মাথায় হাত! তাঁরা নাকি রজনীকান্তকে চিঠি লিখেছিলেন টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য। কারণ রজনীর মুখের উপর ভরসা করেই কোটি কোটি টাকা ঢেলে তাঁরা ছবিটি কিনেছিলেন। শুরুতে বক্স অফিস মন্দ ছিল না। প্রথম দিনে শুধু তামিলনাড়ুতেই ১৮ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল ‘দরবার’। কিন্তু রজনীর মাপের তারকার ছবি যতটা ব্যবসা করা উচিত, এ ক্ষেত্রে তা ছিল না। শোনা যাচ্ছে, দাবি মেনে অভিনেতা টাকা ফেরত দেবেন বলেও ঠিক করেছেন।
দক্ষিণের মতো বলিউডও এক সময়ে তারকা-প্রধান ইন্ডাস্ট্রি ছিল। সেই ধারা ক্রমশ ভাঙছে। তবে শাহরুখ খান বা সলমন খানের ছবি এলে ডিস্ট্রিবিউটরদের প্রত্যাশা বেড়ে যায়। ছবি যেমনই হোক, খানেরা একার দায়িত্বে বক্স অফিস উতরে দেবেন, এমনটা ভাবা হত। কিন্তু শাহরুখের শেষ ছবি ‘জ়িরো’ বক্স অফিসে ব্যর্থ হওয়ার পরে ডিস্ট্রিবিউটরেরা টাকা ফেরতের দাবি তোলেন। শাহরুখ তা মেনে নেন বলেই শোনা গিয়েছিল।
টলিউডের সুপারস্টারেরা কি তেমনটা কখনও ভেবেছেন?