আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃবর্তমান সময়ে চোখের সমস্যা থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। এমন সমস্যায় চোখে কিছু না হোক, দেখার ক্ষেত্রে সমস্যা বাড়বেই। এজন্য প্রায়ই চশমার পাওয়ার বদলাতেও হয়। কিন্তু কবে বদলাবেন তা সম্পর্কে সুষ্ঠু ধারণা কি সবার আছে?
কতদিন পরপর চশমার পাওয়ার বদলাবেন?
এটুকু বোঝার জন্য দৃষ্টি সমস্যা অথবা রিফ্রেকটিভ সম্পর্কে ধারণা থাকা চাই। যারা বিজ্ঞানে পড়েছেন তারা জানেন কোনো বস্তু থেকে উৎসারিত আলোকরশ্মি চোখে আপতিত হয়ে রেটিনার কোনো বিন্দুতে মিলিত হবে। এই রশ্মি চোখে আপতিত হয়ে রেটিনার যেকোনো বিন্দুতে মিলিত হবে। আর এই আলোকরশ্মি চোখে প্রবেশের সময় কর্নিয়া ও প্রাকৃতিক লেন্স অতিক্রম করার সময়ে দিক বদলায়। তারপর মিলিত হয় কোনো বিন্দুতে। এই বিন্দুকে বলে ফোকাল পয়েন্ট। আর পুরো ব্যাপারটাই রিফ্রাকশন। যদি কোনো কারণে এই বিন্দুর মিলন ব্যর্থ হয় তখন দৃষ্টি সমস্যা হবে। এটাই মূলত দৃষ্টির সমস্যা।
আরো পড়ুনঃশিমুল বাগান দেখতে হলে যা জানতে হবে
শিশুদের ক্ষেত্রে চোখের লেন্সের পরিপক্বতা আসাটা চলমান। জন্মের কয়েক বছরের মধ্যে এই কাজ স্বাভাবিকভাবেই হওয়ার কথা। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রম হতে পারে। তাই শিশুদের চশমার প্রয়োজন হলেই তা আজীবন রাখতে হবে তা না। যাদের চশমার পাওয়ার কম তাদের বয়স ২৫ এর আশপাশে হলে একসময় প্রয়োজন হয় না। চিকিৎসকের কাছে ছয় মাস পরপর চেকাপ করালে বুঝতে পারবেন।
বিশেষ কিছু অবস্থায় চোখের পাওয়ারে ব্যবধান ঘটে। রক্তে সুগারের মাত্রা ওঠানামায় পাওয়ারও ওঠানামা করে। চোখের লেন্সের ওপর সুগারের প্রভাব এজন্য দায়ী। রক্তে অনিয়ন্ত্রিত সুগার থাকলে চোখের তরলে সুগারের মাত্রা বেড়ে লেন্সে প্রবেশ করে। এজন্য চোখে আগের পাওয়ার কাজ করে না।
গ্লুকোমার সমস্যা থাকলে ঘন ঘন চশমা বদলাতে হবে। আবার কিছু ওষুধ খেলেও নিরাময় পাবেন।
শিশুদের ছয় মাস পরপর চেকাপ করান। ডায়াবেটিস রোগীরা বছরে দুবার কিংবা একবার পরীক্ষা করানো দরকার।