আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃবুধবারের দূরবর্তী মহাজগতের শ্বাসরুদ্ধকর দৃশ্য দিয়ে বিশ্বকে স্তম্ভিত করার এক বছর পর নাসা জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের নতুন চিত্র উন্মোচন |
নাসা জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ বুধবার দূরবর্তী মহাজগতের শ্বাসরুদ্ধকর দৃশ্য দিয়ে বিশ্বকে স্তম্ভিত করার জন্য এক বছর পর একটি নতুন চিত্র উন্মোচন করতে যাচ্ছে। এই চিত্র পূর্ণ রঙিন এবং প্রথম প্রকাশে বিশ্বের মানুষকে আশ্চর্যজনক করতে পারে। প্রথমবারের মতো এই নতুন দৃশ্যে মহাজগতের সৌন্দর্যকে আরও সম্পূর্ণ রূপ দেওয়া হয়েছে।
এই নতুন চিত্র প্রকাশের সময় নাসা প্রধান অধিদপ্তরী জো বাইডেন বিশেষ একটি ঘোষণা করেন। এই অবসরে বাইডেন বিশ্বের মানুষকে পূর্ণ রঙিন এবং মহাবিশ্বের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন ঃফেসবুক পাসওয়ার্ড হ্যাক হতে পারে যে অ্যাপ ব্যবহারে !
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ হল কক্ষপথের শক্তিশালী একটি টেলিস্কোপ। এটি ২০২১ সালে ফ্রেঞ্চ গায়ানা থেকে মহাকাশে পাঠানো হয়েছে। এটি পৃথিবী থেকে ১৬ লাখ মাইল দূরে দ্বিতীয় ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট (এল-২) নামে একটি কক্ষপথে স্থাপন করা হয়েছে। জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ দ্বারা প্রদর্শিত চিত্রে মহাজগতের সুন্দর নক্ষত্রের পরিমাণ এবং তারাদের পরিমাপ বিশেষ ভাবে উজ্জ্বল ও স্পষ্টতায় দেখা যায়।
নতুন চিত্রের প্রথম পূর্ণ রঙিন ছবি আগামী ১১ জুলাই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দ্বারা উন্মোচন করা হয়েছে। এই চিত্রে মহাবিশ্বের ১,৩০০ কোটি বছরের আদি দৃশ্য দেখা যায়। চিত্রে রয়েছে ক্যারিনা নেবুলা নামক মহাকাশের একটি অঞ্চলে ‘পর্বত’ এবং ‘উপত্যকা’ সদৃশ্য, যা নতুন তারকা-গঠনকারী অঞ্চলের ছবি হিসাবে পরিচিত। এছাড়াও চিত্রে দেখা যায় একটি মহাজাগতিক বৃত্তে আবদ্ধ পাঁচটি ছায়াপথের একটি দল, যা স্তেফানের কুইন্টেট নামে পরিচিত। এই গ্যালাক্সি জোটটি পেগাসাস নক্ষত্রমন্ডলে অবস্থিত। জোটটি প্রথম বর্ষণের সময় এদোয়ার্ড স্তেফান দ্বারা আবিষ্কৃত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন ঃযেভাবে জিমেইল পাসওয়ার্ড রিকভারি করবেন
নতুন দৃশ্যের প্রকাশ সম্পর্কে নাসা খুব উত্সাহী এবং নির্ভীক রয়েছে। আপনারা এই ছবিটি ইস্টার্ন সময়ে সকাল ৬:০০ এ (১০০০ জিএমটি) নাসার ওয়েবসাইটে দেখতে পারবেন।
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপে একটি ২১ ফুট (৬.৫ মিটার) প্রাইমারি মেরর রয়েছে। এই মেরর একত্রিত করা হয়েছে ১৮টি ষড়ভুজাকার সোনার প্রলেপযুক্ত অংশের সাহায্যে। এছাড়াও এই টেলিস্কোপের আকৃতি হাসপাতালের একটি টেনিস কোর্টের মতো এবং পাঁচ স্তরের সানশিল্ড দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের সাহায্যে প্রাথমিকভাবে ইনফ্রারেড বর্ণালীতে কাজ করা হয়। এটি সময়ের শুরুতে আরও কাছাকাছি ফিরে তাকানোর সুযোগ দেয় এবং ধূলিকণার মেঘগুলোকে আরও ভালভাবে প্রবেশ করতে দেয় যেখানে তারা এবং গ্রহের সিস্টেমগুলো এখনো তৈরি হচ্ছে।
মূল আবিষ্কারগুলি ও তাদের বৈশিষ্ট্য
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মধ্যে অনেকগুলি মূল আবিষ্কার রয়েছে। এর মধ্যে থাকছে বিগ ব্যাং-এর কয়েকশ’ মিলিয়ন বছর পরে গঠিত প্রথমদিকের কিছু ছায়াপথ। এছাড়াও টেলিস্কোপটি সময়ের প্রথমে এখানে নামছে বাইবিহ্যাস বাইনিক গ্রহের বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইড খুঁজে পাওয়া এবং সৌর জগতের বৃহস্পতি গ্রহের অত্যাশ্চর্য নতুন দৃশ্য। এই মহাজগতিক দৃশ্যগুলি মানবকে সৌরজগতের বাইরের অজানা সুন্দরতা দেখানোর সুযোগ দিয়েছে।
জ্যোতির্বিদ্যার প্রতিশ্রুতি
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ একটি নতুন যুগের জ্যোতির্বিদ্যার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এটি ২০ বছরের দীর্ঘ মিশনের জন্য যথেষ্ট জ্বালানী রাখছে। এর মাধ্যমে আরও গবেষণা করা যাবে সৌরজগতের অজানা প্রাকৃতিক প্রকৃতি এবং মহাজগতের অদ্ভুত ঘটনাগুলি।