ওই সব দিনের কথা ভাবলে ভয় কার

আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ আজমেরী হক বাঁধন বলেছেন, একটা সময় বিমানবন্দরে নানা রকম জটিলতা হয়েছিল। ঢাকায় ইমিগ্রেশনেও দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। অনেকে জানতেন না, আমরা কেন যাচ্ছি। ভুল–বোঝাবুঝির কারণে অনেক সময় নষ্ট হয়েছে। ফ্লাই করার মাত্র ৫ মিনিট আগে অনবোর্ড হতে পেরেছি। এয়ারলাইনস এবং ইমিগ্রেশনের এসব কর্মকাণ্ডে শেকি হয়ে যাই। তাই আমরা পুরো জার্নিতে কোনো ছবিও তুলিনি। একধরনের শঙ্কাও তৈরি হয়েছিল, ফ্রান্সে আমাদের আদৌ ঢোকা হবে কি না।

 

আমার তো পুরো জীবনটাই পরীক্ষা দিতে দিতে যাচ্ছে। শুটিংয়ের ওই সময়টায় আরও বেশি দিতে হয়েছে। শুটিংয়ের দেড় বছর কোনো কাজ করিনি। মেয়েকে রেখে দুই মাস শুটিং করেছি।

 

মেয়ে প্রতিদিন ফোন করে কান্নাকাটি করত। আমার একটা আইনি ঝামেলা চলছিল, আইনজীবী নানা ইস্যুতে ফোন করত। আম্মু ফোন করে বলত, সায়রার স্কুল থেকে জানিয়েছে, এটা-ওটা হয়েছে।

 

ওদিকে আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ বলছে, কিচ্ছু হচ্ছে না কাজ। তখন মনে হতো, আমি আসলে এই জীবনে কী করলাম। এই যুদ্ধটা প্রতিনিয়ত, প্রতি মুহূর্তে করতে হয়েছে। শুটিং শেষের দুই দিন আগে মনে মনে চেয়েছিলাম, এই শুটিং শেষ না হোক। তার আগমুহূর্ত পর্যন্ত আমি রীতিমতো মারাই যাচ্ছিলাম। স্ক্রিনে যে অস্থিরতা, তা আমার জীবনেও আছে। এটাকে আমি বলব জীবনের পরীক্ষা। এখন ও ওই সব দিনের কথা ভাবতেও ভয় লাগে।

Leave a Reply

Translate »