আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ স্বামী জহিরুল হক জুনাইদকে (৩৯) নিজের কিডনি দিয়ে জীবন বাঁচিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলার সায়মা জাহান পলি (২৭)। পরিবারের লোকজন তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। উভয়ের সুস্থতার জন্য দোয়া করেছেন এলাকাবাসী।
কিডনি দেওয়ার পর সায়মা জাহান পলি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, স্বামীকে নিজের কিডনি দিতে পেরে আমি গর্বিত। আমার স্বামী কখনও কিডনি দিতে বলেননি, আমি নিজের ইচ্ছায় কিডনি দিয়েছি। তিনি সুস্থতার দিকে যাচ্ছেন, এটা দেখে খুবই ভালো লাগছে। এখন বাঁচলে দুজনে বাঁচব, আর মরলে দুজনে মরব।
জহিরুল হক ওরফে জুনাইদের ছোট ভাই পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশিকুল হক বলেন, আমার ভাবি এখন কিছুটা সুস্থ। চিকিৎসকের পরামর্শে শনিবার থেকে তিনি বাসায় আছেন। আর ভাইয়ের অবস্থাও ভালোর দিকে। আমরা সবাই ভাবির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমরা ভাই হয়ে যা করতে পারিনি, ভাবি তা পেরেছেন। তাকে কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই। মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন উভয়কেই সুস্থ করে তোলেন।
আরও পড়ুনঃ ছাত্রলীগ নেতাকে দেখতে হাসপাতালে মাহি
এ বিষয়ে নেত্রকোণা জেলার নারানদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুস সংবাদমাধ্যমকে বলেন, গৃহবধূ সায়মা নিজের কিডনি স্বামীকে দিয়ে এলাকায় প্রশংসায় ভাসছেন। এটি সত্যিই বিরল উদাহরণ। আশা করি, উভয়ই দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।
গত ৫ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয় জহিরুল হক জুনাইদ ও স্ত্রী সায়মা জাহান পলি দম্পতির। বর্তমানে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিসিইউ) চিকিৎসাধীন জহিরুল।