আমলকি পানির উপকারিতা

আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃআমলকীর উপকারিতার  সবারই জানা। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আমলকী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি ত্বক ও চুলের সমস্যা দূর করতেও সহায়ক। কিন্তু আমরা কয়জন আমলকি পানির পান করি বা এর উপকারিতা জানি ? চলুন আজকে আমলকি আপনি কিভাবে তৈরি করে এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে জানি।

প্রস্তুত প্রণালী 

এক গ্লাস পানিতে এক টেবিল চামচ আমলকির পাউডার ঢেলে মিশ্রণ তৈরি করুন। ভালো ফলাফলের জন্য প্রতিদিন খালি পেটে মিশ্রণটি পান করুন।বাড়িতেই পাউডার তৈরি করতে পারেন। কয়েকটি আমলকি কেটে ছোট ছোট টুকরো করুন। দুয়েক দিন রোদে শুকাতে দিন। শুকিয়ে গেলে ব্লেন্ডারে গুড়ো করে সংরক্ষণ করুন।প্রতি ১০০ গ্রাম আমলকিতে আঁশ ও কার্বোহাইড্রেটসহ ৬০ ক্যালোরি থাকে। ভিটামিন ‘সি’ ছাড়াও থাকে ভিটামিন ‘এ’, পাইরিডক্সিন, রিবোফ্লাবিন এবং খনিজ উপাদান যেমন; সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ক্যারোটিন, ক্যালসিয়াম, কপার, জিঙ্ক, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম ও আয়রন।

উপকারিতা

  • আমলকি পানির প্রচুর অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে। হজমশক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি দেহে চর্বি জমতে দেয় না। খাওয়ার আগে নিয়মিত আমলকির পানি খেয়ে এই উপকার পেতে পারেন।
  • আমলকিতে থাকা ক্রোমিয়াম রক্তে চিনির মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।
  • আঁশ সমৃদ্ধ আমলকি পরিপাকতন্ত্রকে পরিষ্কার রাখে। এটি প্রাকৃতিক রেচক ওষুধ হিসেবে কাজ করে যা দেহ থেকে বিষাক্ত উপাদান বের করে দিতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়।
  • আমলকিতে সংক্রমক রোগ প্রতিরোধী উপাদান রয়েছে যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আমলকির পানির সঙ্গে এক টুকরো আদা ও এক ফোঁটা মধু মিশিয়ে খেলে গলাব্যথা ও ঠান্ডা থেকে মুক্ত পাওয়া যায়।
  • ব্রণ, খোসপাঁচড়া প্রতিরোধ করে ও কমায়। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ায়। আমলকি খেলে ত্বকে সহজে বয়সের ছাপ পড়ে না।

প্রতিদিন একটা আমলকি খান অথবা ১০-২০ মিলি আমলকির জুস পান করতে পারেন। এছাড়া প্রতিদিন ৪ গ্রাম আমলকির পাউডার খাওয়া দেহের জন্য ভালো। এর বেশি হলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।

Leave a Reply

Translate »