আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ তবে ঠোঁট আঁকা যেন সঠিক ও সুন্দর হয় এবং ঠোঁটের ত্বকও যেন আর্দ্র থাকে সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
ওপরের ঠোঁট বড় করে এঁকে অথবা বড় ঠোঁট ছোট করে আঁকা দেখতে ভালো লাগে না”- রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এভাবেই মন্তব্য করেন আফগানি বংশোদ্ভূত মার্কিন রূপসজ্জাকর মাতিন মাওলাউইজদা।
তার কথায়, “ফটোশুট বা মডেলিংয়ের জন্য এমন পদ্ধতি অনুসরণ করা গেলেও বাস্তব জীবনে এর ব্যবহার দেখতে আজব লাগে।
ঠোঁট ত্বকেরই একটা অংশ। তাই এরও নিয়মিত পরিচর্যার প্রয়োজন রয়েছে।
মোরালেস বলেন, “আমি সবচেয়ে সাধারণ যে ভুলটা লক্ষ্য করেছি তা হল, ঠোঁট আর্দ্র বা মসৃণ রাখতে ভুলে যাওয়া। এটাও দৈনন্দিন ত্বক পরিচর্যার রুটিনে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। বিশেষ করে কোনো লিপস্টিক ব্যবহারের আগে। এটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ, লিপস্টিক আর্দ্র ও সতেজ ঠোঁটে দেখতে বেশি ভালো লাগে।
আরও পড়ুনঃ অল্প বয়সে পাকা চুল নিয়ে নাজেহাল অবস্থা
“ঠোঁট পাতলা হলে লিপ লাইনার ব্যবহার করে ভরাটভাব আনা যায়”- বলেন মাতিন।
“লিপ লাইনারের রং প্রাকৃতিক রংয়ের চেয়ে দুয়েক শেইড গাঢ় হওয়া উচিত। এতে ঠোঁটকে প্রাকৃতিক আকারের বাইরে কিছুটা বড় করে আঁকা যায় এবং দেখতে ভরাট লাগে।
এরপর পছন্দের রংয়ের লিপস্টিক ব্যবহার করতে হবে। ভলিউম যোগ করতে চাইলে ঠোঁটের মাঝের অংশে হালকা রংয়ের লিপস্টিক ব্যবহার করতে হবে।
ঠোঁট শুষ্ক বা রুক্ষ হলে লিপস্টিক না পরাই ভালো।
প্রসাধনী ব্র্যান্ড ‘ডিয়ার ডাহলিয়া’র স্কারলেট লি বলেন, “শুষ্ক ও খসখসে ঠোঁটে পুষ্টির প্রয়োজন হলে লিপ অয়েল ব্যবহার করা কার্যকর। যেটা স্বচ্ছ বা রঙিন হতে পারে। ঠোঁটে পুষ্টি যোগাতে রাতে লিপ অয়েল ব্যবহার করা উপকারী।
ঠোঁট নিয়মিত আর্দ্র রাখার পাশাপাশি কোনো পণ্য ব্যবহারের আগে প্রস্তুত করা উচিত।
লি বলেন, “লিপ স্ক্রাব (বাদামি চিনি ও নারিকেল তেল দিয়ে চিনির স্ক্রাব তৈরি করা যায়) ঠোঁটে জমে থাকা অবশিষ্টাংশ দূর করে মসৃণতা ফুটিয়ে তোলে।
ঠোঁট থেকে আগের দেওয়া রং ভালোভাবে না তুলে পুনরায় লিপস্টিক ব্যবহার করা যাবে না।
মোরালেস বলেন, “এটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ, ঠোঁটে থেকে যাওয়া লিপস্টিকের অবশিষ্ট অংশ পরেরবার লিপস্টিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি করে। এক্ষেত্রে আমি উন্নত ক্লিনজিং ওয়াটার ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকি।”
এটা ঠোঁট আর্দ্র রাখার পাশাপাশি অবাঞ্ছিত লিপস্টিকের রং অপসারণ করতে সহায়তা করে। আর ব্যবহৃত লিপস্টিকের সঠিক রং ফুটিয়ে তোলে।