আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ খুদের মন যেন অগুন্তি রহস্যের ডেরা। কল্পনাপ্রবণ মনে কখন কোন কথা গেঁথে যায় তা বোঝা দায়। তাই কোনও সামান্য জিনিস নিয়ে ভয় পাওয়া বাচ্চাদের ক্ষেত্রে খুবই সাধারণ ঘটনা। সে ভয়ের পিছনে কলকাঠি নাড়তে পারে অপরিচিত পরিবেশ থেকে কোনও নিরীহ খেলনাও। এদিকে সদ্যোজাত বাচ্চা যেমন মায়ের পরিচিত স্পর্শ না পেলেই ভয় পেয়ে কাঁদে, তেমনই বড় হলে স্কুল যাওয়ার সময় প্রথম প্রথম হাত ছাড়াতে চায় না। এমনকী অপরিচিত পরিবেশের নিয়েও আকাশ কুসুম কল্পনা করে কাঁদে বাচ্চার মন। অর্থাৎ ‘ভয়’ হল বাচ্চাদের নিত্যসঙ্গী। শুধু ।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় বয়স বাড়লেও বাচ্চার ছোটখাটো জিনিসে ভয় কাটছে না। এমন ঘটনা ঘটলে কিন্তু চিন্তার বিষয়। কারণ সে ভয় সময়মতো না কাটানো গেলে গভীর প্রভাব পড়তে পারে তাদের বিকাশে। তাই কী ভাবে কাটাবেন সন্তানের অহেতুক ভয়, সেই টিপস জেনে নিন ঝটপট।
আরও পড়ুনঃ শীতকালে বেশি ক্ষুধা লাগে কেন?
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভয় পাওয়া একেবারে স্বাভাবিক অনুভূতি। ৮-৯ মাস থেকে অচেনা চেহারা দেখলে ভয় পায় বাচ্চারা। এদিকে ১০ মাসের পর থেকে ২ বছর অবধি বাচ্চারা বাবা-মা আশপাশে না থাকলেই ভয় পেয়ে যায়। এরপর মোটামুটি ১০ বছর বয়স পর্যন্ত বাচ্চাদের একা শুতে ভয় লাগে।
এছাড়া ছোট শিশুদের সিংহভাগের ভয়ের ‘কমন সাবজেক্ট’ অন্ধকার। কিন্তু, অল্পস্বল্প ভয় লাগা নিয়ে চিন্তা না থাকলেও বাচ্চা যদি কোনও কিছু নিয়ে অতিরিক্ত ভয় পায় বা হিস্টিরিয়া গ্রস্থের মতো কাঁদে, তাহলে অবশ্যই তা চিন্তার বিষয়। এমনকী ২ বছরের পর বাবা-মায়ের কাছছাড়া হলেই বাচ্চা যদি কান্নাকাটি শুরু করে দেয়, তাহলে চটজলদি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।