৪০ দিন জামাতে নামাজ পড়ালে যে উপকারীতা পাবেন

আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ প্রায়ই খবরের শিরোনাম হয়, টানা ৪০ দিন জামাতে নামাজ পড়ে দামি পুরস্কার পায় শিশু, কিশোর ও যুবকরা। টানা ৪০ দিন জামাতে নামাজ পড়ার আলাদা কোনো উপকারিতা আছে কি? এ সম্পর্কে হাদিসের দিকনির্দেশনাই বা কী?

 

মসজিদ কমিটি কিংবা মহল্লাবাসীর পক্ষ থেকে ইসলামের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী এসব ঘোষণা আসে কিনা তা সঠিকভাবে বলা না গেলেও ৪০ দিন জামাতে নামাজ পড়ার রয়েছে বিশেষ ফজিলত ও মর্যাদা। যা একজন ঈমানদার মুসলমানের জন্য অনেক বড় পাওয়া। ৪০ দিন জামাতে নামাজ পড়া সুন্নাত আমলের ঘোষণা এসেছে হাদিসে। আরে তাতে ঘোষিত হয়েছে নামাজির বিশেষ দুইটি পুরস্কার। তাহলো-

১. জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেবেন।
২. মুনাফিকের তালিকা থেকে তার নাম কেটে দেবেন।’ (তিরমিজি)

হাদিসের ঘোষণা অনুযায়ী একজন মুমিনের জন্য এরচেয়ে বড় সৌভাগ্য ও পুরস্কার আর কী হতে পারে? কারণ কোনো ব্যক্তি জাহান্নাম থেকে মুক্তি মানেই তো সে জান্নাতি।

 

আর বর্তমান সময়ে প্রতিনিয়ত সবচেয়ে বড় ফেতনা বা অন্যায় হচ্ছে- মুনাফেকি। এ মুনাফেকি থেকে মুক্ত থাকাও অনেক বড় সৌভাগ্যের ব্যাপারে। কোরআনুল কারিমে মুনাফিকের শাস্তি সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। যা হবে ভয়াবহ। মহান আল্লাহ বলেন-

‘নিশ্চয়ই মুনাফিকরা জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে থাকবে। আর তুমি কখনও তাদের জন্য কোনো সাহায্যকারী পাবে না।’ (সুরা নিসা : আয়াত ১৪৫)

 

হাদিসের ঘোষণায় টানা ৪০ দিন জামাতে তাকবিরে উলা তথা প্রথম তাকবিরের সঙ্গে নামাজ পড়ার সহজ আমলের মাধ্যমেই উল্লেখিত দুইটি পুরস্কার পাওয়া সম্ভব।

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, নিয়মিত জামাতে নামাজ পড়া। নিয়মিত জামাতে নামাজ পড়ার মাধ্যমে জাহান্নাম থেকে মুক্তিসহ মুনাফেকির মতো ভয়াবহ অপরাধ থেকে মুক্ত থাকা। হাদিসের ওপর আমল করে কোরআনে ঘোষিত শাস্তি থেকে বেঁচে থাকা। সর্বোপরি জান্নাত পেতে তাকবিরে উলার সঙ্গে জামাতে নামাজ আদায় করা।  হাদিসে ঘোষিত পুরস্কার পেয়ে নিজেদের দুনিয়া ও পরকালকে ধন্য করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Leave a Reply

Translate »