আপনি প্রায়ই কাজের চাপ মধ্যে এটা বা ওটা ভুলে গেছ বা আপনার স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ছে? তবে পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে। তাই বিভিন্ন অধ্যয়ন থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে সতর্কতা এবং স্মৃতিশক্তি জোরদার করার কিছু উপায় জেনে নিন।
পর্যাপ্ত ঘুম: আপনি যদি রাতে কম ঘুমান তবে এটি বার্ধক্যের প্রক্রিয়াটিকে ত্বরান্বিত করতে মস্তিষ্কে হস্তক্ষেপ করে। এই সমস্যাটি কাটিয়ে উঠতে পর্যাপ্ত ঘুম খুব জরুরি। ঘুম না হলে মস্তিষ্কের বয়স সাত বছরের বেশি হতে পারে।
শীতল ঘর: ঠান্ডা গরমের চেয়ে তিন গুণ বেশি স্মৃতি এবং মনোযোগ দেয়। এ ছাড়া ঠান্ডা বাড়িও মাথা ঠাণ্ডা রাখে। সুতরাং, ঘরের তাপমাত্রা 21 ডিগ্রি সেলসিয়াসের চেয়ে বেশি রাখা ঠিক নয়।
গল্পের শেষ থেকে শুরু করুন: একটি গল্প পড়ার পরে পুরো গল্পটি মনে রাখবেন। এখন গল্পটি শুরু থেকে বা শেষ থেকে বা পিছন থেকে মনে রাখবেন। এই পদ্ধতির ফলে মস্তিষ্কের কোষগুলি পাশাপাশি সক্রিয় থাকবে।
হাঁটাচলা: নিয়মিত হাঁটাচলা বা জগিং শরীরকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি মস্তিষ্ককেও সুস্থ রাখে। সপ্তাহে কমপক্ষে ২০ বা তিন দিন হাঁটা বা জগিং করা বেশি উপকারী।
প্রতিদিনের রুটিন থেকে বেরিয়ে আসুন: মস্তিষ্ক যাতে প্রাণহীন না হয় সেজন্য মস্তিষ্ককে সারাক্ষণ নতুন কিছু শিখতে হয়। তাই প্রতিদিনের রুটিন ভেঙে নতুন কিছু করার চেষ্টা করুন।
পায়ে ম্যাসেজ: প্রতিদিন পাঁচ মিনিটের জন্য পায়ের আঙ্গুলের ম্যাসাজ করুন। প্রথমে আঙুলের শীর্ষ থেকে শুরু করুন এবং আলতো করে নীচে নীচে টিপুন। এই ম্যাসেজ মস্তিষ্কের কোষগুলির সাথে যোগাযোগ স্থাপনে সহায়তা করবে।
মস্তিষ্কের খাবার: আখরোট ‘পলিফেনলস’ মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। এছাড়াও সামুদ্রিক ফিশ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, পালংশাক, ডার্ক চকোলেট, গ্রিন টি, অলিভ অয়েল, শাকসবজি ইত্যাদি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
Related