স্মার্টফোন এখন আমাদের দৈনন্দিন একটি জিনিস । এটি ছাড়া যেন চলেই না।স্মার্টফোনের যেমন নানাবিধ সুবিধা রয়েছে। তেমনি অতিমাত্রায় স্মার্টফোনের উপর নির্ভরতা আপনাকে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে দিতে পারে।
স্মার্টফোন আসক্তি বর্তমানে বিশ্বব্যাপী একটি বড় সমস্যা। সব সময় সঙ্গে মোবাইল রাখা কিন্তু মোটেও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়। কী নোটিফিকেশন এল, স্ট্যাটাস আপডেট করার পরেও এখনো কেন নোটিফিকেশন এল না, এই চিন্তা আমাদের পিছু ছাড়ছে না। মোবাইলফোন নিয়ে বেশি ঘাঁটাঘাটি আমাদের স্ট্রেস হরমোন বাড়িয়ে দেয়। এই স্ট্রেস হরমোনের কারণে ওজনও বেড়ে যায়!
ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ল্যারি রোজেন বলেন, একজন মানুষ সাধারণত প্রতি ১৫ মিনিটে একবার ফোন চেক করে। এর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি সংখ্যকবার এই চেক সে করে এমনি এমনি। অর্থাৎ এলার্ট বাজুক না বাজুক, নোটিফিকেশন আসুক না আসুক- শুধু শুধুই সে মোবাইলটা হাতে নিয়ে টাচ করে বা চেক করে।
সম্প্রতি স্মার্টফোনের উপর এক গবেষণায় দেখা গেছে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সারাক্ষণ স্মার্টফোনের দিকে তাকিয়ে থাকার প্রবণতা বাড়ছে। এতে তারা হাতের মুঠোয় সারা বিশ্বের জ্ঞান নিয়ে আসতে পারছে ঠিকই, কিন্তু তাদের মানসিক ক্ষতিও বাড়ছে। এগুলো মস্তিষ্কের ক্ষমতা এবং বুদ্ধিবৃত্তিক সৃজনশীলতাকে হ্রাস করছে।
গবেষকরা বলছেন, মানুষের মস্তিষ্কের মনোযোগ দেওয়ার ক্ষমতা সীমিত। মস্তিষ্কের বেশিরভাগ মনোযোগ যদি ফোনের পেছনে থাকে, তাহলে অন্যান্য কাজের প্রতি মনোযোগ কমে যায়, ফলে সেসব কাজে দক্ষতা কমে। দৃষ্টিসীমার মাঝে একটি ফোন থাকা মানেই মনোযোগ কমে যাবে। মানুষ ছোটখাট কাজ করতে ব্যর্থ হবেন এবং স্মৃতিশক্তি কমে যাবে। ফোন পকেটে, ব্যাগে এমনকি পাশের ঘরে থাকলে মনোযোগে এত ব্যাঘাত ঘটে না।
বেশি রাত পর্যন্ত মোবাইল ঘাঁটাঘাটির অভ্যাস অনেকেরই আছে। ফোন দেখতে গিয়ে রাতে ঘুম ঠিক মতো হয় না। আর ঘুম ঠিক না হলে স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ হয়ে ওজন বাড়বে। রাতে ঠিক মতো ঘুমাতে না পারলে সকালে উঠে ওয়ার্ক আউটও করতে পারবেন না। এসব কারণে ওজন যাবে বেড়ে।