আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃডিজিটাল যুগে, সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে । যেখানে আমাদের বন্ধু, পরিবার এবং বিশ্বের যোগাযোগকে আরও সহজ করে দিয়েছে। এটি বিনোদনেরও একটি মাধ্যম।
সোশ্যাল মিডিয়া অত্যধিক ব্যবহার মানসিক স্বাস্থ্য, কাজের প্রতি মনযোগ এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। সব কিছুর মধ্যে একটা সূক্ষ্ম ভারসাম্য বজায় রাখা প্রয়োজন।
নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন কেন আপনি সোশ্যাল মিডিয়াতে থাকতে চান? আপনি এটি থেকে কী লাভ করতে চান? আপনি কি অনুপ্রেরণা খুঁজছেন, নাকি কেবল বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছেন? নাকি একটি পেশাদার নেটওয়ার্ক তৈরি করছেন? যখন আপনার একটি সুস্পষ্ট উদ্দেশ্য থাকে, তখন সচেতনভাবে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা সহজ হয়ে যায়। অকারণে স্ক্রোলিং এড়ানো যায়৷
আরও পড়ুন ঃমাংস খেয়ে অ্যালার্জি হলে যা করবেন
সোশ্যাল মিডিয়ার অন্যতম প্রধান সমস্যা হল স্ক্রোলিং করতে থাকা। কতটা সময় ব্যবহার করবেন তা আগে নির্দিষ্ট করুণ। নিজের জন্য একটি সময়সীমা তৈরি করে নিন। আপনি প্রতিদিন সোশ্যাল মিডিয়াতে কতটা সময় বরাদ্দ করতে পারেন তা নির্ধারণ করুন। স্মার্টফোন অনেক ফিচার আছে যা ব্যবহার করে অ্যাপ টাইমার সেট করা যায়। নির্দিষ্ট সময় সীমায় অতিক্রম করলে এটি আপনাকে রিমাইন্ডার দেবে।
সারাক্ষন ধরে ইনবক্সে কে কী ম্যাসেজ করছে বা কে কী আপলোড করছে সেই চিন্তা বাদ দিতে হবে। পাশাপাশি কিছুক্ষণ ছাড়া স্যোশাল মিডিয়া চেক করা বন্ধ করতে হবে।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের এমন অনেক বিষয় আছে যা নেতিবাচক আত্ম-ধারণা ও বাস্তবতার বিকৃত দৃষ্টিভঙ্গির দিকে নিয়ে যেতে পারে। তাই আপনাকে অনুপ্রাণিত করে এবং আপনার উন্নতিতে সাহায্য করে এমন বিষয়বস্তু অন্তর্ভুক্ত করুন।
একটি স্বাস্থ্যকর ভারসাম্য বজায় রাখতে, দিনের নির্দিষ্ট সময় নির্দিষ্ট করুন যখন আপনি সামাজিক মাধ্যমের থেকে সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকতে পারবেন। আপনি এই সময়টি বই পড়া, বাইরে সময় কাটানো বা প্রিয়জনের সঙ্গে গল্প করা ইত্যাদি করতে পারেন।