আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য জীবনের এ খারাপ পরিস্থিতি থেকে মুক্ত থাকতে রয়েছে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অসংখ্য উপদেশ; যা মেনে চলায় রয়েছে মহা কল্যাণ ও মুক্তির পথ।
ভালোবাসায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠবে প্রতিটি মুহূর্ত। দুনিয়াতে প্রতিটি মুহূর্তে বিরাজ করবে শান্তির সুবাতাস। প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপদেশগুলো থেকে কয়েকটি-স্বামীর উচিত স্ত্রীকে দুনিয়ার সর্বোত্তম সম্পদ হিসেবে গুরুত্ব দেওয়া। স্ত্রীর যাবতীয় বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে দেখা। যখনই স্বামী তার স্ত্রীর প্রতি যথাযথ গুরুত্ব দেবে, সেখানে শান্তি আসবেই।
স্বামীদের বেলায় তাদের উত্তম চরিত্রকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। যখনই স্বামীরা পরিপূর্ণ দ্বিনদার হয়ে উঠবেন তখন তারা স্ত্রীদের কাছেও দামি হবেন। হাদিসে এসেছে-হজরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তির চরিত্র ও আচরণ সবচাইতে উত্তম, ইমানের দৃষ্টিতে সেই ব্যক্তিই পরিপূর্ণ মুমিন। আর তোমাদের মধ্যে সেসব লোক-ই উত্তম, যারা তাদের স্ত্রীদের কাছে উত্তম।
পরিশেষে, নারী জাতি নিজেদেরকে দুনিয়ার যাবতীয় অকল্যাণ থেকে মুক্ত রাখতে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ ছোট্ট হাদিসটিরে ওপর আমল করা জরুরি। প্রিয় নবি বলেছেন, ‘আমার অনুপস্থিতে আমি পুরুষদের জন্য মেয়েদের চাইতে বেশি ক্ষতিকর ফিতনা (বিপর্যয়) আর রেখে যাইনি। দুনিয়ার যাবতীয় ফিতনায় আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার পাশাপাশি নিজেদের হেফাজতে আল্লাহর বিধি-বিধান যথাযথ পালন এবং উল্লিখিত হাদিসগুলোর আমল করার জরুরি। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সবাইকে দাম্পত্য জীবনের যাবতীয় ক্ষতিকর বিষয়গুলো থেকে হেফাজত করুন। পরকীয়ার মতো মহামারি থেকে নারী-পুরুষ সবাইকে হেফাজত করুন। প্রিয় নবির হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।