আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ ব্যাট যখন কথা বলছিল না তখন সাব্বির এগিয়ে গেলেন ভিন্ন পথে। মাঠের বাইরে বিতর্কিত আরেকটি কাণ্ডে সাব্বির চলেএল আবার আলোচনায়। প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব শেখ জামালের স্পিন অলরাউন্ডার ইলিয়াস সানীকে গালাগাল, ইট ছুড়ে মারা ও বর্ণবাদের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
এই ঘটনায় শেখ জামাল ক্লাব কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে। এবং সাব্বিরের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেছে শেখ জামাল।
ওখানেই শেষ নয়, সানী বলেন, আজ বিকেএসপিতে আমি যখন ফিল্ডিং করছিলাম তখন আবার নিজ থেকে এগিয়ে এসে ঝামেলা করে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে ক্রিকেট খেলছি। কিন্তু এরকম ডাক কখনও তার মুখ থেকে শুনিনি। পরে ইট নিয়ে আমাকে ছুড়ে মারে। কিন্তু আমার গায়ে লাগেনি। আমি আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারির কাছে অভিযোগ করি। আম্পায়ার সাব্বিরকে বকা দিয়ে ওখান থেকে সরিয়ে দেয়।
ইলিয়াস সানী জানান, পুরোনো ক্ষোভ থেকেই এমনটি করতে পারেন সাব্বির। সেদিন তারা ম্যাচে পরাজিত হয়েছিল। সিসিডিএমে দেওয়া চিঠিতে শেখ জামাল লিখেছে, ‘শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব লিমিটেড বনাম ওল্ড ডিওএইচএস স্পোর্টস ক্লাব এর মধ্যকার খেলা চলাকালে শেখ জামালের খেলোয়াড় মোহাম্মদ ইলিয়াসকে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের খেলোয়াড় সাব্বির রহমান রুম্মন মাঠের বাইরে থেকে বিনা কারণে উপর্যুপরি ইট ছুড়ে মারেন এবং খুব খারাপ ভাষায় গালিগালাজ ও উচ্চস্বরে বর্ণ বৈষম্যমূলক আচরণ করেন। যা একজন পেশাদার ক্রিকেট খেলোয়াড় হিসেবে করা উচিত হয়নি। এই রকম আচরণ শাস্তিযোগ্য অপরাধও বটে।
এই দিকে সাব্বিরের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ আসলেও তিনি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, আমি এসব সম্পর্কে কিছুই জানি না। তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো।
কিন্তু সাব্বির এর আগেও এমন ঘটনা আরও ঘটিয়েছে ও এর জন্য নিষিদ্ধ হয়েছে বেশ কয়েক বার। খেলা চলাকালে গ্যালারিতে গিয়ে এক দর্শক পিটিয়ে ছয় মাস নিষিদ্ধ হয়েছেন। এবারের অপরাধও আরও বড় অপরাধ।এখন সময়েই শুধু বলে দিবে সাব্বিরের ভাগ্যে কী আছে।