আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ চট্টগ্রাম ভিত্তিক গণসংগীত সংগঠন সৃজামির দুইদিন ব্যাপী গণসংগীত উৎসব শেষ হয়েছে গত শনিবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে।
দুইদিন ব্যাপী উৎসবের শেষ দিন সৃজামি পরিবেশন করে কবিতার গান ও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী পরিবেশন করে গীতি-কাব্য-নাট্যালেখ্য ধর ধর চোর ধর।
কবিতার গান ছয়টি সুরারোপিত কবিতা নিয়ে পরিবেশনা যার সুরারোপ ও সংগীত পরিচালনা করেছেন সুজিত চক্রবর্ত্তী।
গানগুলো হলো ভালো থেকো ফুল মিষ্টি বকুল, ফুটপাত ফুটপাত, এইতো রে সেই জীবনতরী, কষ্ট নেবে কষ্ট, টাকা তুমি কী আশ্চর্য ও ভালো মেয়ে ঠিক কাকে বলে।
মাহমুদ সেলিমের রচনা ও সুরাইয়া পারভীনের সংগীতায়োজনে অমিত রঞ্জন দে’র নির্দেশনায় বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী মঞ্চস্থ করে তাদের প্রযোজনা ধর ধর চোর চোর।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মঞ্চসারথী আতাউর রহমান। এছাড়া অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণসংগীত শিল্পী মাহমুদ সেলিম ও নাট্যজন অভিজিৎ সেনগুপ্ত।
সৃজামি সম্মাননা গ্রহন করেন গণসংগীত শিল্পী, অভিনেতা ও নাট্যনির্দেশক লিয়াকত আলী লাকী।
“গণসংগীতের ভুমিকা জাতীয় জীবনে ইতিবাচক। জনপ্রিয়তা বা অর্থের কথা চিন্তা না করেই গণসংগীত শিল্পীরা কাজ করছে। উদীচী গণসংগীতের ক্ষেত্রে বিশেষ ভুমিকা পালন করেছে, বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর নাট্যলেখ্য ইতিহাস কথা কও সারাদেশে মঞ্চস্থ করেছে। এই সময়ে গণসংগীত নিয়ে কাজ করছে সৃজামি, আমি তাদেরকেও ধন্যবাদ জানাই।” বলেন লিয়াকত আলী লাকি।
“গণসংগীত গুরুত্বপূর্ন সাংস্কৃতিক উপাদান যা আমাদেরকে মুক্তি সংগ্রামে উজ্জীবিত করেছে সবসময়। সৃজামিকে ধন্যবাদ তারা গণসংগীতকে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে” বলেন মাহমুদ সেলিম।
“পৃথিবী পরিবর্তিত হচ্ছে তাই বলে আমাদের দেশজ ও লোকজ সংস্কৃতি কি আমরা রক্ষা করবো না! সৃজামিকে ধন্যবাদ গণসংগীতের চর্চা অব্যাহত রাখার জন্য,” বলেন আতাউর রহমান।
চট্রগ্রাম ভিত্তিক গণসংগীতের দল সৃজামি সাংস্কৃতিক অঙ্গন প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১২ সালে পহেলা বৈশাখ। দুটি গণসংগীত উৎসব আয়োজন করেছে ২০১৯ ও ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে চট্টগ্রামে। ২০১৮ সালে সংগঠনের নেতৃত্বে চালু হয় সংগীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সৃজামি সংগীত নিকেতন।
শুক্রবার দুইদিন ব্যাপী গণসংগীত উৎসব উদ্বোধন করেন নাট্যজন মামুনুর রশীদ।