শাকিব খানের অভিভাবক ছিলেন রাজ্জাক

আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ শাকিব খান প্রায়ই বলেন, নায়করাজ রাজ্জাক তাঁর একজন অভিভাবক। শাকিবের অভিনয় ও ব্যক্তিজীবনের যেকোনো দুঃসময়ে তিনি ছায়ার মতো পাশে ছিলেন। সাহস ও প্রেরণা জুগিয়েছেন। শাকিব খানের সেই অভিভাবক, বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের অভিভাবক নায়করাজ রাজ্জাকের মৃত্যুর আজ চার বছর অতিক্রান্ত হচ্ছে। দিনটিতে তাঁকে স্মরণ করে ফেসবুকে একটি স্মৃতিকথা লিখেছেন শাকিব খান।

 

শাকিব খান লিখেছেন, ‘নায়করাজ রাজ্জাক ছিলেন আমার মাথার ওপর সুবিশাল আকাশ। ছায়ায় ও মায়ায় আগলে রেখে ভালোবাসা ও পরামর্শ দিতেন। অনেক দিন দেখা না হলেও কীভাবে যেন বুঝে যেতেন কিসের মধ্যে আছি, এটাই বুঝি আত্মার সম্পর্ক!

 

বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের সেরা নায়ক হিসেবে ধরা হয় নায়করাজ রাজ্জাককে। দেশের চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি এই অভিনেতা ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট মারা যান। চার বছর আগের এদিন বিকেল পাঁচটার দিকে অসুস্থ বোধ করলে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেদিন গুলশানের একটি হাসপাতালে সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।

 

রাজ্জাকের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে শেষ হয় বাংলা চলচ্চিত্রের একটি বর্ণাঢ্য অধ্যায়। গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশক থেকে যাঁদের হাত ধরে আমাদের দেশে শিশু চলচ্চিত্র দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিল, তাঁদের মধ্যে উজ্জ্বল এক নাম রাজ্জাক। দীর্ঘ অভিনয়জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়ে তিনি জয় করেছিলেন এ দেশের চলচ্চিত্রপ্রেমী মানুষের হৃদয়।

 

 

নায়করাজ রাজ্জাকের জন্ম ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি। অবিভক্ত ভারতের কলকাতার কালীগঞ্জের নাকতলায় তিনি জন্মেছিলেন। তাঁর আট বছর বয়সে বাবা আকবর হোসেন ও মা নিসারুন্নেসা দুজনই মারা যান। তিন ভাই, তিন বোনের সংসারে বড়রা রাজ্জাককে বুঝতেই দেননি মা–বাবার শূন্যতা। ছোটবেলায় পড়তেন খানপুর হাইস্কুলে। এ কথা এখন অনেকেই জানেন যে কৈশোরে রাজ্জাকের ইচ্ছা ছিল ফুটবলার হওয়ার। গোলরক্ষক হিসেবে খেলতেন ভালো। বিভিন্ন পাড়ায় ভাড়া করেও নিয়ে যাওয়া হতো তাঁকে।

 

রাজ্জাক যে পাড়ায় থাকতেন, সে পাড়ায়ই থাকতেন ছবি বিশ্বাস (‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’, ‘জলসাঘর’সহ অসংখ্য বাংলা ছবির শক্তিমান অভিনেতা), সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের মতো অভিনয়শিল্পীরা। ছবি বিশ্বাস বিপুল উৎসাহ নিয়ে আবৃত্তি শেখাতেন পাড়ার শিশু-কিশোরদের। রাজ্জাকও তাঁর কাছে আবৃত্তি শিখেছেন।

Leave a Reply

Translate »