বিয়ে করছেন র্যাবের গুলিতে পা হারানো সেই লিমন হোসেন। শুক্রবার (০৩ সেপ্টেম্বর) সকালে কনের বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছেন বর যাত্রীরা। কনে রাবেয়া বশরী যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌরসভার সরখোলা গ্রামের নুরবাগ এলাকার টিটু মোল্লা ও জ্যোস্না বেগমের মেয়ে।
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেন ও হোসনেয়ারা বেগমের ছেলে লিমন হোসেন সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে ২০১৮ সালে স্নাতক (সম্মান) সম্পন্ন করেন। এরপর কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি গণবিশ্ববিদ্যালয়ে একই বিভাগে শিক্ষা সহকারী হিসেবে যুক্ত হন। সর্বশেষ ২০২০ সালের ১ আগস্ট প্রভাষক হিসেবে পদায়ন হয় তার।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ২৩ মার্চ বিকেলে বাড়ির কাছের মাঠে গরু আনতে গিয়ে র্যাবের গুলিতে পা হারায় লিমন। ওই সময় সে উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল। সেই রাতেই লিমনসহ ৯ জনের নামে রাজাপুর থানায় দুটি মামলা দায়ের করেন র্যাবের ডিএডি লুৎফর রহমান। একটি অস্ত্র আইনে এবং অপরটি সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে। দুটি মামলার এক নম্বর আসামি ছিলেন লিমন।
২৪ মার্চ লিমনকে রাজাপুর হাসপাতাল থেকে নেওয়া হয় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে। ২৫ মার্চ লিমনকে গ্রেফতার করে পাঠানো হয় ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে। সেখানে ২৭ মার্চ চিকিৎসকরা লিমনের বাম পা হাঁটু থেকে কেটে ফেলেন।
৬ এপ্রিল পত্র-পত্রিকায় লিমনকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ওইদিনই পঙ্গু হাসপাতালে লিমনকে দেখতে যান তৎকালীন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান।
১০ এপ্রিল লিমনের মা হোসনেয়ারা বেগম বাদী হয়ে র্যাবের ৬ সদস্যর বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে লিমনকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি নালিশি মামলা দায়ের করেন।