আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো দলবদল করতে চান। জুভেন্টাস ছাড়লেও ইউরোপের বাইরে যেতে চান না পর্তুগিজ উইঙ্গার। এমন এক দলের হয়ে খেলতে চান যারা চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে। গত কয়েক সপ্তাহ তাই রিয়াল মাদ্রিদ আর পিএসজির সঙ্গে তাঁর নাম জড়িয়ে বেশ গুঞ্জন শোনা গেছে।
ইউরোপের পরাশক্তিদের মধ্যে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের নামও শোনা গেছে। গুঞ্জন উঠেছিল ম্যানচেস্টার সিটির নামেও। কিন্তু জুভেন্টাস যদি ছাড়েনই, কোথায় যাবেন রোনালদো? কিংবদন্তি কার্ল-হেইঞ্জ রুমেনিগের ধারণা কোথাও না। কারণ, তাঁর ধারণা রোনালদোকে নিতে হলে সে দলকে নিয়ম ভাঙতে হবে, পিএসজির মতোই উয়েফার নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখাতে হবে।
গত সপ্তাহে হঠাৎ গুঞ্জন শোনা গেছে, রোনালদোর জন্য লড়ছে পিএসজি ও রিয়াল। মেসি, নেইমার, এমবাপ্পেকে নিয়ে এমনিতেই তারা হাট বসিয়েছে পিএসজি। এবার নাকি রোনালদোকে নিয়ে একেবারে জাঁকিয়ে বসতে চায় তারা। ওদিকে ২০১৮ সালে রোনালদোকে ছেড়ে দিয়ে গোলের জন্য হাহাকার করা রিয়ালে নতুন কোচ আনচেলত্তি আবার পেতে চাইছেন তাঁকে। গুঞ্জনে যখন কান পাতা দায় অবস্থা, তখন আনচেলত্তি নিজেই টুইট করে জানালেন ওটা মিথ্যা।
পিএসজির পক্ষ থেকেও কোনো আগ্রহ দেখা যায়নি। এরপর রোনালদো বিশাল এক বার্তায় জানিয়েছেন, দলবদলের ইচ্ছার কথা মিথ্যা। জুভেন্টাসে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত থাকবেন। রিয়াল এখন অতীত। অথচ, রোনালদোর খুব কাছের এক সাংবাদিকই বলেছিলেন রিয়াল খুব করে চাইছে তাঁকে। এই অবস্থায় রোনালদোর সম্ভাব্য গন্তব্য বলতে শুধু সাবেক দল ইউনাইটেডের নামই থাকছে।
এ মৌসুমে চেলসি ও সিটি এরই মধ্যে ১০ কোটি ইউরোর বেশি খরচ করে খেলোয়াড় কিনে এনেছে। সিটি এখনো টটেনহামের কাছ থেকে হ্যারি কেইনকে নিতে আগ্রহী। যার জন্য অন্তত ১৫ কোটি ইউরো খরচ হবে বলে ধারণা। ওদিকে মেসি, সের্হিও রামোস, জর্জিনিও ভাইনালডম ও জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মাকে অনেক উচ্চ বেতন দিয়ে দলে টেনেছে পিএসজি। ওদিকে প্রথাগত পরাশক্তিদের মধ্যে রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, জুভেন্টাস বা বায়ার্ন মিউনিখ মুফতে খেলোয়াড় নিচ্ছে, অথবা কম দামে দলবদল করছে।
এ অবস্থায় রুমেনিগে উয়েফাকে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। আর্থিক সংগতি নীতির সঠিক ব্যবহার না হলে ভবিষ্যতে ফুটবল বিশ্বে বিরূপ প্রভাব ফেলবে। কারণ, উচ্চ বেতনের লোভ দেখিয়ে পিএসজি ও সিটি যদি আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে, তাহলে অন্য দলগুলো দিন দিন আরও পিছিয়ে পড়বে।