আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ রাগ মানুষের আচরণ এবং চিন্তা-ভাবনা উপর বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারে এবং এটি অবসান করতে পারে জ্ঞান, বিবেক, এবং ধর্মের পথে থাকার। আইনের পাথরে রাগ করা ইসলামে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো।
ইসলামে রাগ একটি খারাপ আচরণ হিসেবে মন্না করা হয়েছে এবং বিশেষভাবে এটি ক্ষমা এবং সহমর্মিতা উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। কোরআনে ও হাদিসে এসেছে, রাগ পরিহার করা, মানুষের মধ্যে সহমর্মিতা ও ভালোবাসা বাঢ়ায় এবং আল্লাহর মহত্ত্বপূর্ণ গুণের মধ্যে একটি গুণ হিসেবে উল্লিখিত হয়।
আরও পড়ুন ঃতাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত ও উপকারিতা
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআনুল কারিমে বলেন-
وَلَا تَسْتَوِي الْحَسَنَةُ وَلَا السَّيِّئَةُ ۚ ادْفَعْ بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ فَإِذَا الَّذِي بَيْنَكَ وَبَيْنَهُ عَدَاوَةٌ كَأَنَّهُ وَلِيٌّ حَمِيمٌ
অর্থ: ‘সমান নয় ভালো ও মন্দ। জওয়াবে তাই বলুন যা উৎকৃষ্ট। তখন দেখবেন আপনার সঙ্গে যে ব্যক্তির শত্রুতা রয়েছে, সে যেন অন্তরঙ্গ বন্ধু’। (সূরা: হা-মীম সেজদাহ, আয়াত: ৩৪)
وَمَا يُلَقَّاهَا إِلَّا الَّذِينَ صَبَرُوا وَمَا يُلَقَّاهَا إِلَّا ذُو حَظٍّ عَظِيمٍ
অর্থ: ‘এ চরিত্র তারাই লাভ করে, যারা সবর করে এবং এ চরিত্রের অধিকারী তারাই হয়, যারা অত্যন্ত ভাগ্যবান’। (সূরা: হা-মীম সেজদাহ, আয়াত: ৩৫)
وَإِمَّا يَنزَغَنَّكَ مِنَ الشَّيْطَانِ نَزْغٌ فَاسْتَعِذْ بِاللَّهِ ۖ إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
অর্থ: ‘যদি শয়তানের পক্ষ থেকে আপনি কিছু কুমন্ত্রণা অনুভব করেন, তবে আল্লাহর শরণাপন্ন হোন। নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ’। (সূরা: হা-মীম সেজদাহ, আয়াত: ৩৬)
নবীজি (সা.) বলেন, ‘যে সুযোগ থাকা সত্ত্বেও রাগ দমন করে, আল্লাহ তাআলা কেয়ামতের দিন তার অন্তরকে সন্তুষ্টি তারা পূর্ণ করে দেবেন’।
নবীজি (সা.) আরো বলেন, ‘সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও যে তার রাগ দমন করে, আল্লাহ কেয়ামতের দিন তার গোটা সৃষ্টির সামনে তাকে ডাকবেন এবং তাকে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী হুর নির্বাচন করতে দেবেন’। (আবু দাউদ, হাদিস: ৪৭৭৭)