আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ যান চলাচলের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত স্বপ্নের পদ্মা সেতু। উদ্বোধন ঘিরে দুই পাড়ে এখন চলছে শেষ পর্যায়ের কাজ। প্রধানমন্ত্রীর সুধী সমাবেশের নান্দনিক মঞ্চ তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কর্মীরা।
স্বপ্নজয়ে সারা দেশেই যেন আলোর দ্যুতি ছড়াচ্ছে পদ্মা সেতু। তাই মহোৎসব বরণে প্রস্তুত স্বপ্নের এই সেতু। হংকংয়ের প্রকৌশলী ড. রবিন স্যামের করা ডিজাইনের পুরোটাই দৃশ্যমান এখন।
চলছে দুই পাড়ে সেতু উদ্বোধন ঘিরে শেষ পর্যায়ের কর্মযজ্ঞ। প্রধানমন্ত্রীর সুধী সমাবেশের নান্দনিক মঞ্চ তৈরির কাজ চলছে দিনরাত। নামফলক ও ম্যুরাল স্থাপন একেবারেই শেষ পর্যায়ে। বসে গেছে ইলিশের স্ট্যাচু। বেনারসির দেয়ালচিত্র প্রস্তুত।
দুই পাড়ের অ্যাপ্রোচ সড়কে বসে গেছে ২০০ ল্যাম্পপোস্ট। ওজন স্টেশন ও সেতুর সড়ক নেটওয়ার্কের শেষ পর্যায়ে কাজ চলমান। ২০ জুনের মধ্যেই সবকিছু শেষ করার লক্ষ্য। এতে উচ্ছ্বাসের শেষ নেই পদ্মাপারের মানুষের।
পদ্মা সেতুর এক কর্মকর্তা জানান, শিফটিংয়ে কাজ চলছে। ব্রিজের কাজ মোটামুটি শেষ। চারপাশের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ চলছে।
প্রকল্পের কর্ণধার জানান, উদ্বোধনের জন্য সেতু এখন প্রস্তুত।
পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জের কাজ। আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া যে আমরা শেষ পর্যায়ে চলে আসতে পেরেছি।’
বহুল আকাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু আগামী ২৫ জুন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর এক দিন পর ২৬ জুন থেকে যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে। এটি দেশের পদ্মা নদীর ওপর নির্মাণাধীন একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। এর মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের সঙ্গে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর যুক্ত হবে। ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে উত্তর-পূর্বাংশের সংযোগ ঘটবে।
দুই স্তরবিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাস ব্রিজটির ওপরের স্তরে থাকবে চার লেনের সড়কপথ এবং নিচের স্তরটিতে একটি একক রেলপথ। পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর অববাহিকায় ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান ইতোমধ্যে বসানো হয়েছে। ৬.১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৮.১০ মিটার প্রস্থ পরিকল্পনায় নির্মিত হচ্ছে দেশটির সবচেয়ে বড় এ সেতু।
পদ্মা সেতু নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি। খরস্রোতা পদ্মা নদীর ওপর ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ হয়েছে স্বপ্নের এ সেতু। ২০১৪ সালে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়।